তাইওয়ান প্রণালিতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ! ক্ষুব্ধ চিন, মিলছে কিসের ইঙ্গিত?
জানুয়ারিতে তাইওয়ানের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন সাই ইং-ওয়েন। সাই ইং-ওয়েন চিন বিরোধী বলেই পরিচিত। এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হলেও করোনা প্রকোপের জেরে তাঁর শপথগ্রহণ করা হয়নি। সেটি হওয়ার কথা আগামী সপ্তাহে। আর তার আগেই মার্কিন রণতরী পারি দিল তাইওয়ান প্রণালি দিয়ে।
চিন বিরোধী সাই ইং
জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫৭ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন সাই ইং। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যান কুও-ইয়ুর চেয়ে এই ভোট অনেক বেশি ছিল। চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিরোধিতা করেন সাই ইং। অন্যদিকে হ্যান কুও মনে করেন চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।
তাইওয়ান নিয়ে চিনের দাবি
প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে চিনের গৃহযুদ্ধের শেষে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করে চিন। তারা বলে, প্রয়োজন হলে, তাইওয়ানকে জোর করে হলেও চিনের সঙ্গে একীভূত করা হবে। সেই দাবির বিরোধিতায় সরব সাই ইং-ওয়েনকে চিনের আক্রোশ থেকে রক্ষা করতেই আমেরিকার এই রণতরী পাঠানোর কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
ফরাসি যুদ্ধজাহাজও যায় তাইওয়ানের কৌশলগত প্রণালিতে
এর আগে এপ্রিল মাসের শেষ লগ্নে ফরাসি একটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ানের কৌশলগত প্রণালির উদ্দেশে পারি দেয়। সেই সময় এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ইউরোপীয় কোনও দেশের জাহাজ হিসেবে এই বিরল অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল বেজিংয়ে। এবার খোদ আমেরিকা যুদ্ধজাহাজ পাঠানোয় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হল বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা
যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যেই এই অভিযান। যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের ছেদে অন্যতম মূল কারণ তাইওয়ান। এদিকে বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিয়েও ক্রমাগত চিনকে আক্রমণ করছে ওয়াশিংটন। এই আবহে মার্কিন এই যুদ্ধজাহাজ চিনের এত কাছে যাওয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের অভিযোগ, গত সপ্তাহে তাইওয়ানের আকাশসীমায় চলে এসেছিল চিনের যুদ্ধ বিমান।
দক্ষিণ চিন সাগরে চিন-মার্কিন রেষারেষি
দক্ষিণ চিন সাগরে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আর চিনের বর্ধিঞ্চু সামরিক শক্তি প্রদর্শন। এরই মধ্যে আমেরিকার এই পদক্ষেপে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূ-সীমানার অংশ দাবি করা চিন ক্ষুব্ধ হয়েছে। ব্যস্ত আন্তর্জাতিক জলপথের অংশ তাইওয়ানের এই প্রণালি। এই বিষয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, প্রয়োজনের তাগিদে যেকোনও দেশের জাহাজ এখানে প্রবেশ করতে পারে। তবে উল্লেখ্য বিষয়, তাইওয়ানের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই ওয়াশিংটনের।
ফের আতঙ্ক কাশ্মীরে! কুলগামে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইতে উত্তপ্ত উপত্যকা