আমার সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে মা, প্রথম ভাষণেই ভারতের সঙ্গে আত্মিক যোগ বুঝিয়ে দিলেন কমলা
আমেরিকা তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি। শিকড় যে ভারতেই রয়েছে তা বুঝিয়ে দিলেন আমেরিকার নব নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। প্রথম জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কমলা বলেন, আমার এই সাফল্যের সব কৃতিত্ব মায়ের। তাঁর জীবণের লড়াই থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই নিজের জীবন যুদ্ধে জয় পেয়েছি। আমেরিকার প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে কমলা বলেছেন মহিলা িহসেবে তিনি শেষ ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে থাকতে চাননা। এই উচ্চপদে যেন আরও অনেক মহিলা আসীন হতে পারেন সেই বার্তাই দিেয়ছেন তিনি।

আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট
আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিস। গতকাল থেকে উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে আমেরিকায়। আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্টকে ঘিরে উচ্ছ্বাস একটু বেশিই। প্রবাসী ভারতীয়রা নতুন উদ্যোমে ফুটছেন। একদিকে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট ার উপরে প্রথম ভারতীয় উচ্ছ্বাস দুদিক থেকেই দ্বিগুণ।

মা-কে স্মরণ কমলার
ভারতেই রয়েছে কমলা হ্যারিসের শিকড়। যদিও তাঁর মা শ্যামলা গোপালন ১৯ বছর বয়সেই আমেরিকায় চলে এসেছিলেন গবেষণা এবং পড়াশোনার জন্য। কিন্তু তার পরেই ভারতে পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। একাধিবার তিনি সেখানে গিয়েওছিলেন। তাঁর জীবনের লড়াই থেকেই জীবন যুদ্ধে জয়ের মন্ত্র খুঁজে পেয়েছেন। তাই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে বারবার নিজের মায়ের কথা স্মরণ করলেন কমলা।

মার্কিন নারীদের বার্তা
আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। কিন্তু শেষ হয়ে থাকতে চান না। আমেরিকার নারীদের রাজনৈতিক দৌড়ে আরও বেশি করে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এর কথায় নারীদের সমাজে আরও এগিয়ে চলার কথা বলেছেন তিনি। সেই লড়াইয়ে তিনি সামিল করতে চান আমেরিকায় বসবাসকারী সব নারীদের। সে কৃষ্ণাঙ্গ হতে পারেন, তিনি এশিয়ান আমেরিকান হতে পারেন শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানও হতে পারেন। বর্ণ যে শেষ কথা নয় সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন কমলা।

ঐতিহাস তৈরি করলেন কমলা
আমেরিকায় নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন কমলা। তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভুত মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। যিনি শ্বেতাঙ্গ নন। এতেই উত্তেজনায় ফুটছে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রবাসী ভারতীয়রা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ট্রাম্পের শাসনের শেষ পর্যায়ে ফের কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ মাথাচারা দিয়ে উঠেছিল।