সিরিয়ায় পাঁচদিনের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত তুরস্কের, এরডোগানের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন পেন্স
সিরিয়ায় পাঁচদিনের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত তুরস্কের, এরডোগানের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট
সাময়িক ভাবে স্বস্তিতে সিরিয়া। গতকাল আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলমান তুর্কি আগ্রাসন থামানোর সিদ্ধান্তত নিয়েছে সেই দেশটি। এই মর্মে পাঁচদিনের সংঘর্ষবিরতির মেনে নিয়েছে তুরস্ক। সেই সময়কালেই সেই অঞ্চল থেকে কুর্দিশ যোদ্ধাদের সরে যেতে হবে বলেও জানিয়েছে তুরস্ক।
এরডোগানের সঙ্গে মাইক যুগলের বৈঠক
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলমান তুর্কি আগ্রাসন থামাতে বুধবার তুরস্কের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। মূলত সংঘর্ষবিরতির ব্যাপারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরডোগানকে রাজি করানোর প্রচেষ্টা চালাতে আঙ্কারায় পৌঁছান তাঁরা। এরডোগানের সঙ্গে বৈঠক সফল হওয়ার ফলেই তুরস্কের এই সিদ্ধান্ত। চারঘণ্টার সেই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মাইক পেন্স বলেন, "একসপ্তাহ আগে তুরস্কের সামরিক বাহিনী সীমান্ত পার করে সিরিয়াতে প্রবেশ করেছিল। আমেরিকা তুরস্ককে এই আগ্রাসন থামাতে অনুরোধ কেরছিল। সেই মত তুরস্ক আপাতত সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।"
কড়া পদক্ষপেরে ভয়ে পিছু হটল তুরস্ক?
এর আগে তুরস্কেরর অভিযান অব্যাহত থাকার কথা বলেছিলেন এরডোগান। তবে তুরস্কের উপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা জারি বদলে দেয় সব সমীকরণ। ঐতিহাসিক ভাবে তুরস্ক বন্ধু রাষ্ট্র হলেও সেদেশের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। এই ঘোষণার পর দীর্ঘদিনের ন্যাটো সঙ্গী তুরস্কের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, "যদি তুরস্ক তাদের ধ্বংসলীলা চালিয়ে যায় তবে আমি সেদেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করতে তৈরি।"
সিরিয়ায় তুর্কি আগ্রাসন
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার পরেই তুরস্ক সেদেশে অভিযান শুরু করে। ওই অঞ্চল থেকে সেনা তুলে নেয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরডোগানকে ফোন করে হামলা বন্ধের আর্জি জানান ট্রাম্প। তবে সেই আর্জিতে কাজ না হওয়ায় কড়া পদক্ষেপের পথে হাটেন ট্রাম্প। তবে এতে বন্ধু রাষ্ট্র খোয়ানোর ভয় জাকিয়ে বসে আমেরিকার উপরও। তাই পরিস্থিতি স্বাভাক করতে উদ্যোগ নেয় আমেরিকা। এর ফলস্বরূপ তুরস্কের উদ্দেশে রওয়ানা দেন মাইক পেন্স ও পম্পেও।
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থির উপর মার্কিন নজর
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক সফরের পর পম্পেও সিরিয়া এবং এ অঞ্চলে ইরান সরকারের অস্থিতিশীলতামূলক কর্মকাণ্ড দমনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুক্রবার জেরুজালেম যাবেন। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পম্পেও ব্রাসেলসে ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলেনবার্গের সঙ্গেও সাক্ষাত করবেন।