কাশ্মীর ইস্যুতে নওয়াজ শরিফের প্রস্তাব খারিজ করল মার্কিন সরকার
চার দিনের সফরে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ওয়াশিংটন পৌছনোর আগেই মার্কিন সরকারের তরফে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে জানিয়ে দেওয়া হল। এর আগে লন্ডন থেকে ওয়াশিংটন যাওয়ার পথে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে, ভারত সরকার যদিও চায় না তবু কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বশক্তিগুলির হস্তক্ষেপ করা উচিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এক মার্কিন উর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্তা বলেন, আগেও বারবার বলা হয়েছে কাশ্মীর ইস্যু দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিষয়। মার্কিন সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। মার্কিন সরকার নিজের নীতি থেকে একচুলও নড়ছে না বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
বাণিজ্য ও শক্তির দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। শক্তি ও অর্থনীতির বিষয়ে ওবামা-শরিফের মধ্যে আলাচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
গত মে মাসে নওয়াজ শরিফ ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের অভ্যন্তর থেকে সন্ত্রাস নির্গমন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা ছেদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ভারতের। এই একই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না মার্কিন সরকারও।
এর আগে ১৯৯৯ সালে কার্গিলের যুদ্ধ চলাকালীন শেষবার ওযাশিংটনে সফর করেছিলেন শরিফ। রবিবার রাতে স্টেট সেক্রেটারি জন কেরির সঙ্গে সান্ধ্যভোজে দেখা করেন শরিফ। করি বলেন, কোর্স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলেচনা রয়েছে। এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় আমরা উৎসাহী।
অন্যদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের হোয়াইট হাউসে ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের এক মাসের মধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত হতে চলেছে। বুধবার ওবামার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত হবে নওয়াজ শরিফের।