চিনের আকাশে মার্কিন গুপ্তচর বিমান! বেজিংয়ের কোন সামরিক আয়োজনে জল ঢালল ওয়াশিংটন
চিনের আকাশে মার্কিন গুপ্তচর বিমান! বেজিংয়ের কোন সামরিক আয়োজনে জল ঢালল ওয়াশিংটন
চিন আগেও অভিযোগ এনেছিল যে মার্কিন যুদ্ধবিমান চিনের আকাশ সীমানা পেরিয়েছে বলে। এবার সেই অভিযোগের থেকে একধাপ এগিয়ে চিন আরও বড়সড় অভিযোগ তুলে ধরল। মার্কিন-চিন যুদ্ধসংঘাতের আবহকে উস্কানি দিয়ে চিন দাবি করছে, সেদেশের আকাশ সীমায় এবার মার্কিন গুপ্তচর বিমান ঢুকেছে।
আকাশে চিনের আস্ফালন
এই মাসের শুরুতে তাইওয়ানে মার্কিন প্রতিনিধি আসতেই তাইওয়ানের আকাশসীমার কাছে চিনা যুদ্ধবিমান দেখা গেল। এদিন তাইওয়ান প্রণালীর মিডল লাইন পার করে চিনের যুদ্ধ বিমান। আর সেই ঘটনা ফের একবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাপটের আস্ফালনকেই প্রমাণ করছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মার্কিন গুপ্তচর বিমান চিনের আকাশে
বেজিংয়ের দাবি, মার্কিন গুপ্তচর বিমান ইউ-টু চিনের নোফ্লাই জোনের মধ্যে দিয়ে উড়ে গিয়েছে সদ্য়। খুব উচ্চতায় উড়তে পারে এই সুদক্ষ বিমানগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম 'চোখ' বলা যায়। আর সেই চোখ দিয়েই চিনের অন্দরে নজর রাখছে আমেরিকা, বলে দাবি করেছে বেজিং। উল্লেখ্য, আমেিকার এইগুপ্তচর বিমান ৭০ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে, কোনও মিসাইল হামলার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে। ফলে চিনের কাছে এটি বড় 'হুমকি' হয়ে উঠছে।
চিনের কোন আয়োজনে জল ঢালা হল?
জানা গিয়েছে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নর্দান কমান্ড যখন সেনা মহড়ায় ব্যস্ত ছিল, তখন চিনের আকাশ সীমায় নজরদারি চালিয়েছে মার্কিন গুপ্তচর বিমান। এই দাবিতে বেজিং সরব হচ্ছে বলে জানিয়েছে 'সিএএন'।
আমেরিকা যা জানিয়েছে
মার্কিন মুলুক সাফ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিধি মেনেই এশিয়া পেসিফিকে উড়ছে ইউ-টু বিমান। এই বিমান কোনও আন্তর্জাতিক বিধি ভঙ্গ করেনি। পাল্টা তাদের দাবি, চিন এই বিমানগুলিকে আগে থেকে চিনে নিতে না পারায়, ক্ষভে ফুঁসছে। আর তাই ভুল অভিযোগ তুলছে।
চিনে জোরদার সেনা মহড়া
গত কয়েক মাসে চিনের অন্দরে সেনা মহড়া সেভাবে দেখা যায়নি। তবে এই সদ্য চিন যেভাবে সেনা মহড়া বাড়িয়ে দিয়েছে, তা রীতিমতো চোখে পড়ছে আন্তর্জাতিক মহলের।
দক্ষিণ চিন সাগরে বোমারু বিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের!
উল্লেখ্য, রিপোর্ট বলছে, দুটি তাবড় বোমারু বিমান দক্ষিণ চিন সাগরের মহড়ায় প্রস্তুুত রেখেছে আমেরিকা। গত ৬ বছরে দক্ষিণ চিন সাগরে এই ছবি দেখা যায়নি। ফলে চিনের নয়া বিস্তারবাদের প্রেক্ষাপটে এমন ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগে রাখছে দক্ষিণ এশিয়াকে। মার্কিন বি-১ এস, বি-২এস বিমান রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে। এছাড়াও জাপানের তাবড় যুদ্ধ জাহাজ সেখানে মজুত রয়েছে। যা চিনকে ত্রস্ত করছে বলে দাবি ওয়াকিবহালমহলের।
লাদাখের সেনা সংঘর্ষকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা চিনা রাষ্ট্রদূতের, চাপের মুখে পড়েই সুর নরম ?