ভারত সফরে মার্কিন বিদেশ সচিব পম্পেও, কী বিষয় গুরুত্ব পাবে আলোচনায়?
নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম ভারতে আসছেন আমেরিকার কোনও উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক। আশা করা যাচ্ছে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর ভারত সফর ঘিরে নতুন করে দুই দেশের সম্পর্কে আরও উন্নতির আশা দেখছে কূটনৈতিক মহল।

মোদী-টু সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে ভারতের। ভারতের একাধিক পণ্যর উপ কর বহাল করে আমেরিকা। যার জেরে ভারত খেরে আমেরিকায় রপ্তানি করা পণ্যের দাম বাড়ে। বাণিজ্যে টানাপোড়েন তো চলছিলই তার উপর কয়েকদিন আগেই ভারতের ধর্মীয় সহষ্ণুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমেরিকা রিপোর্ট পেশ করেছিল ভারতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়। যদিও এই নিয়ে ওয়াশিংটনকে কড়া বার্তাই পাঠিয়েছিল দিল্লি। তার পরে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিবের এই ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
পম্পেও ভারতে আসার পর যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম জঙ্গি দমন। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিয়ে একাধিক বার আন্তর্জাতির মঞ্জে নালিশ জানিয়েছে ভারত। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে চিঁড় ধরেছে পাকিস্তানের। তাই জঙ্গি দমন ইস্যুতে আমেরিকাকে পাশে পেতে সবরকম চেষ্টা চালাবে ভারত তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে সেটি দুই দেশের বাণিজ্যিক আদান প্রদান। আমেরিকা ভারতের উপর যে আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে সেটা যাতে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টা চালাবে ভারত।
[আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থার ৪৪ বছর পূর্তিতে প্রতিবাদীদের স্যালুট জানিয়ে ভিডিও বার্তা মোদীর]
আর তৃতীয় ক্ষেত্রটি হল এইচ-১বি ভিসা। ট্রাম্প সরকারের এই ভিসা নীতির কারণে ভারতের একাধিক প্রযুক্তি কর্মী আমেরিকায় গিয়ে বেশিদিন কার করতে পারছেন না। তাঁরা অত্যন্ত মেধাবী এবং দক্ষ। দক্ষতার ভিত্তিতেই যাতে ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীদের ভিসা দেওয়া হয় সেদিকটি নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জোর করে গুম করা হচ্ছে! বিস্ফোরক বালোচ-আন্দোলনকারীর ]