চিনকে একঘরে করতে একজোট বিশ্ব! জিনপিংকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা ছকতে ব্রিটেনে মাইক পম্পেও
চিনকে একঘরে করতে ও হংকংয়ের বিষয়ে জিনপিং প্রশাসনের উপর আরও চাপ তৈরি করতে এবার করোনা আবহেই ব্রিটেন ও ডেনমার্ক সফরে যাবেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। হংকংয়ে চিনাদের নিরাপত্তা আইন লাগুকে ভালো চোখে দেখেনি আমেরিকা-ব্রিটেন সহ গোটা বিশ্ব। এবার তাই চিনের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ার কাজে লেগে পড়ল আমেরিকা।
শি জিনপিংকে খোঁচা পম্পেওর
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও শি জিনপিংকে খোঁচা দিয়ে দাবি করেছিলেন, বিদেশি শত্রু থেকে নিজের দেশের জনগণের মুক্ত চিন্তাধারাকে বেশি ভয় পায় চিন। লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা এবং হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলনের মাঝে এভাবেই দিনপিংকে তোপ দেগেছিলেন পম্পেও। পাশাপাশি চিনের বিরুদ্ধে সমস্ত বিশ্বকে এক হতে হবে বলেও আবেদন জানিয়েছিলেন পম্পেও। এবার সেই কাজেই করোনা আবহে ইউরোপে যাচ্ছেন পম্পেও।
মানবাধিকার লঙ্ঘন চিনে
এর আগে করোনা সংক্রমণ নিয়ে শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে একটি আর্টিকেল লিখে জেলে যেতে হয় সেদেশের নাগরিক শু ঝ্যাংরুনকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেজিংকে আক্রমণ করেন মাইক পম্পেও। পাশাপাশি ঝ্যাংরুনকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য চিনা সরকার ও সেদেশের কমিউনিস্ট সরকারকে আবেদন জানান পম্পেও।
লাদাখ প্রসঙ্গে ভারতের পাশে আমেরিকা
এদিকে পূর্ব লাদাখে ভারতের সীমানায় চিনের অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাইক পম্পেও বলেন, 'আমি এই প্রসঙ্গে গোটা পৃথিবী জুড়ে চিনের এবং জেনারেল সেক্রেটারি শি জিনপিং এবং তাঁর আচরণের উল্লেখ করতে চাই। আমি মনে করি না এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির আগ্রাসী নীতিকে সবাই বোঝে। এটা রুখে এর বিচার করতে হবে।'
কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির এই ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে সঠিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সারা পৃথিবীর আজ এক হওয়া দরকার জানিয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন। এরপরই বেজিংকে খোঁচা দিয়ে তিনি দাবি করেন, চিন নিজের নাগরিকদেরই সব থেকে বেশি ভয় পায়।
চিনের বিরুদ্ধে ৮ দেশের জোট
এদিকে চিনের বিরুদ্ধে আগেই জোট বেঁধেছিল বিশ্বের ৮টি দেশ। বিশ্বের আটটি অন্যতম শক্তিধর দেশের সাংসদদের একটি জোট এই সিদ্ধান্ত নিয়ছে। এই জোটে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সাংসদ।
হংকং ও উইঘুর নিয়ে চিনের উপর চাপ সৃষ্টি
এই দেশগুলির আইনপ্রণেতারা আলোচনায় বসে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, চিন ক্রমেই বিশ্ব অর্থনীতি ও মানবাধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব সুরক্ষার ক্ষেত্রেও চিন বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জেরে চিনকে রুখতে একজোট হতে চলেছে এই দেশগুলি। হংকং ও উইঘুর মুসলিমদের উপর চিনা অত্যাচারও এই ৮টি দেশের জোটের চিন্তার কারণ।
চিনের গলার কাঁটা সেই জিনজিয়াং! উইঘুরদের প্রদেশে করোনা সংক্রমণের পিছনে কি বেজিংয়েরই হাত?