বিপদের সময় ভারত পাশে দাঁড়িয়েছিল! অতীতের কথা মনে করে 'বন্ধু' ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন বাইডেন
তীব্র সমালোচনা। অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করল আমেরিকা। করোনার টিকা কোভিশিল্ড তৈরির কাঁচামাল ভারতকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মার্কিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা জেক সালি
তীব্র সমালোচনা। অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করল আমেরিকা। করোনার টিকা কোভিশিল্ড তৈরির কাঁচামাল ভারতকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মার্কিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা জেক সালিভানের দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। এরপরেই বরফ গলে দুদেশের মধ্যে।
এরপরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, বিপদের সময় ভারত তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাই ভারতের এই দুঃসময়ে আমেরিকাও পাশে দাঁড়াবে।
শুধু তাই নয়, কোভিড মোকাবিলায় ভারতের পাশে সবসময় আমেরিকা রয়েছে বলে আশ্বাস বাইডেন প্রশাসনের।
লম্বা একটি টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।টুইট করে বলা হয়েছে, 'প্রথম দিকে অতিমারির প্রভাবে আমাদের হাসপাতালগুলি যখন সমস্যায় পড়েছিল তখন যে ভাবে ভারত সাহায্য করেছিল তেমনই এই সময় আমরা ভারতকে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর'।
রবিবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের মধ্যে ফোনে কথোপকথন হয়। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এমিলি হর্ন করোনা পরিস্থিতিতে ভারতকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ''ভারতের কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করার জন্য আমেরিকা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। পিপিই কিট, র্যাপিড টেস্ট কিট, ওষুধের সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর পাঠানো হবে খুব তাড়াতাড়ি।''
শুধু তাই নয়ম ভারতের করোনা মোকাবিলায় মার্কিন দূতাবাস এবং ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে বলে আশ্বাস মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্রের। একই সঙ্গে এমিলি জানিয়েছেন, খুব শিঘ্রই ভারতে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (সিডিসি) জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল যাবে। করোনা পরিস্থিতিতে এই দল সাহায্য করবে ভারতকে।
উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড অর্থাৎ করোনার টিকা তৈরির একটা বিশাল কাঁচামাল আসে আমেরিকা থেকে। গত কয়েক ঘন্টা আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দেন যে, ভারতকে কাঁচামাল আর দেওয়া হবে না। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে তীব্র সমাচলোচনা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে করোনায় আমেরিকার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা মনে করায় ভারত।
সমস্যা ভুলে মার্কিন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠানোর আবেদন করেন। অত্যন্ত দ্রুত ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেন নরেন্দ্র মোদী। বিষয়টি তুলে ধরে ভারত। আর অসময়ে আমেরিকা এভাবে মুখ ঘোরাচ্ছে? তৈরি হয় সমালোচনা।
শুধু তাই নয়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মার্কিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা জেক সালিভানের দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। এরপরেই করোনার টিকা তৈরির কাঁচামাল দেওয়ার জন্যে রাজি হল আমেরিকা।
উল্লেখ্য, দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৫২,৯৯১ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক মৃত্যু।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ২৮১২ জন। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২,১৯,২৭২ জন।
অন্যদিকে, দেশে তীব্র অক্সিজেন সংকট। জরুরি ভিত্তিতে চলছে অক্সিজেন সরবরাহের চেষ্টা চলছে সব রাজ্যে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন এক্সপ্রেস চলে গিয়েছে। সেনাবাহিনী হাত লাগিয়েছে অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায়।