হোয়াইট হাউজের কুর্সিতে বসার আগেই চিনকে হুঁশিয়ারি, কী বললেন জো বাইডেন?
এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক একগুঁয়েমির জেরে হোয়াইট হাউজের ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে চলছে টালবাহানা। তবে এরই মাঝে সেই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর প্রশাসন কীভাবে চলবে, তার রূপরেখা তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের কুর্সিতে বসতে বাইডেনের এখনও দেরি রয়েছে। তবে তার আগেই নিজের প্রশাসনিক পথ ঠিক করে ফেলছেন বাইডেন।

বাইডেনের অধীনে মার্কিন প্রশাসন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর অধীনে কোন পথে চলবে, তাঁর ইঙ্গিত অনেক বিশেষজ্ঞই দিয়ে রেখেছিলেন। তবে চিন নিয়ে বাইডেনের নীতি নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল বিভিন্ন মহলে। তবে এবার সেই ধোয়াঁশা কিছুটা হলেও সরিয়ে দিলেন বাইডেন। নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে একপ্রকার বুঝিয়ে দিলেন, ট্রাম্প যতই তাঁকে চিনের প্রতি নরমপন্থী বলে অভিহীত করুক না কেন, তিনি চিনকে কোনও রেয়াত দেবেন না।

চিনকে সব নিয়ম মেনে চলতে হবে
এদিন এক বক্তব্যে জো বাইডেন স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে চিনকে সব নিয়ম মেনেই চলতে হবে, নচেৎ আমেরিকার পক্ষ থেকে কোনও রেয়াত তারা আশা করতে পারবে না। তাছাড়া বিশ্ব পরিবেশের জন্যে সুখবর, জো বাইডেন এদিন জানালেন যে আমেরিকা ফের একবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগ দিতে চেলেছে। উল্লেখ্য, করোনা প্রকোপ তুঙ্গে উঠতেই হু-চিন আঁতাতের অভিযোগ তুলে ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন।

চিনের প্রতি বাইডেনের নরম-গরম মনোভাব
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক সভায় বক্তব্য রাখার সময় চিনকে আক্রমণ করেছিলেন জো বাইডেন। বলেছিলেন, চিনকে শায়েস্তা করতে হবে। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বাইজেনের অধীনে পরবর্তী মার্কিন প্রশাসন কি তবে চিনের উপর আর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা লাগু করার কথা ভাবছে? সেই প্রসঙ্গেই বাইডেন জানান, চিনকে নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে।

চিনকে আগেভাগে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বাইডেন
জো বাইডেন এদিন বলেন, 'চিনকে শায়েস্তা করার থেকেও বড় কথা, আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে যাতে চিন নিয়ম অনুযায়ী চলে। এটা তাদের কাছে আমার খুব সাধারণ একটি প্রস্তাব।' মুখে সাধারণ প্রস্তাব বললেও ওয়াকিবহল মহলের মত, বাইডেন আদতে এই কথার মাধ্যমে চিনকে আগেভাগে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন।

চিনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলা কঠিন হবে
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমেরিকা-চিনের সম্পর্কের অবনতি হয়। মার্কিন নির্বাচন ঘনিয়ে আসতে সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে যায়। বাণিজ্য যুদ্ধ ছাপিয়ে আমেরিকা-চিন দ্বন্দ্ব গিয়ে পড়ে দক্ষিণ চিন সাগরে। সরাসরি সংঘাতে না গেলেও দুই দেশই একে অপরকে প্রায় উসকানি দিতে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে জো বাইডেনের পক্ষে চিনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলা কঠিন হবে, তা মানছেন সবাই।

স্নায়ু যুদ্ধ চাইবেন না বাইডেন
এদিকে বাইডেন প্রশাসন চিনের সঙ্গে তাদের সংঘাতকে স্নায়ু যুদ্ধের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইবে না প্রথমেই। তবে নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সময়, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চাইবে। এবং এখানেই উভয় সংকট উপনীত হতে পারে। তবে বাইডেন যদি শক্ত গলায় চিনা বিস্তারবাদকে রোখার বার্তা দেন, তাহলে ঘটনাক্রম অন্যদিকে মোড় নিতে পারে।

ইমরানের প্রতি রুষ্ট ম্যাক্রোঁ! 'বয়কট ফ্রান্স' রব তোলা পাকিস্তান নিজে একঘরে হওয়ার পথে