করোনাভাইরাস: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরীক্ষায় নেতিবাচক এসেছে
করোনাভাইরাস: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরীক্ষায় নেতিবাচক এসেছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়নি, নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক।
শন কনলি একটি বিবৃতিতে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় পরীক্ষার ফলাফল আসে ও আমরা নিশ্চিত হই যে প্রেসিডেন্টের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়নি।
মূলত মি. ট্রাম্পের ফ্লোরিডা রিসোর্টে একটি বৈঠক ছিল কিছুদিন আগে।
সেখানে ছিলেন ব্রাজিলের কয়েকজন প্রতিনিধি, যার মধ্যে একজন ফ্যাবিও ওয়ানগার্টেন, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জেইর বলসোনারো একজন প্রেস সচিব।
তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে।
এই বৈঠকের দিনকয়েক পরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরীক্ষা করা হয়।
হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক শন কোনলি বলেন, সেই ডিনার পার্টির এক সপ্তাহ পরেও ট্রাম্পের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৩।
উল্লেখ্য, বৈঠকের পরে ট্রাম্প কোনো ধরণের সেল্ফ আইসোলেশনে যাননি।
তিনি বলেন তার কোনো লক্ষণ নেই করোনাভাইরাসের।
তবে হোয়াইট হাউজে একটি সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প করোনাভাইরাস নিয়ে নানামুখী প্রশ্নের সম্মুখীন হন।
যার মধ্যে একটি ছিল তার নিজের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কি না।
তখন ট্রাম্প উত্তর দেন তিনি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হবেন।
শুক্রবার ১৩ই মার্চ ট্রাম্পের করোনাভাইরাস পরীক্ষা হয় হোয়াইট হাউজে।
শন কোনলি একটি বিবৃতিতে বলেন, "রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এবং হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাজই করছি যাতে সংক্রমণ কমে।"
যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে, এর আগে যারা নিশ্চিত করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে এমন মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের কমপক্ষে ১৪দিন ঘরে থাকা উচিত।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৭০০ এর ওপরে মানুষের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং ৫৪ জন মারা গেছেন।
করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর
কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে
করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন
করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন
যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস
করোনাভাইারাস আপনার শরীরে কী ঘটায়?
রাজনীতিবিদদের মধ্যে যাদের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে
এর আগের সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগোইর ট্রুডোর করোনাভাইরাস নিশ্চিত হবার পর, জাস্টিন ঘোষণা দেন তিনি ১৪ দিনের জন্য নিজেই কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার এখনো কোনো উপসর্গ ধরা পড়েনি কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছি।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজেরও করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
স্পেনের সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী তারা দুজনই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অবস্থার করছেন মাদ্রিদে।
ইউরোপে ইতালির পরে স্পেনেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।
যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ সংসদ সদস্য নাদিন ডোরিসেরও করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
তিনিও ঘরে অবস্থান করছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাজ্যে গেল ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ১০জন, এখন পর্যন্ত ২১জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে যুক্তরাজ্যে।
গেল মাসে ইরানের ডেপুটি স্বাস্থ্য মন্ত্রী ইরাজ হারিরচির করোনাভাইরাস নিশ্চিত হয়।
ইরানে ৬০০জনের মৃত্যূ নিশ্চিত হয়েছে এই ভাইরাসে।