শিয়রে ভোট, শরণার্থী খেদাও অভিযান শুরুর নির্দেশ ট্রাম্পের
ওবামাকে সরিয়ে যখন ট্রাম্প এলেন ক্ষমতায়, দিন কয়েকের মধ্যে আমেরিকা বুঝতে পেরেছিল বড় ভুল হয়ে গিয়েছে।
ওবামাকে সরিয়ে যখন ট্রাম্প এলেন ক্ষমতায়, দিন কয়েকের মধ্যে আমেরিকা বুঝতে পেরেছিল বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। তারপরে একের পর এক ছন্দপতন ঘটেছে মার্কিন প্রশাসকের শাসনে। কেচ্ছা, কেলেঙ্কারি, কুকীর্তি কী ঘটেনি। নিন্দুকেরা বলেন, বিল ক্লিনটনকেও হার মানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একের পর এক পর্নস্টারদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ফাঁস হয়েছে।
সে তো গেল সম্পর্কের কেচ্ছা। কিন্তু শাসন। সেটাও তো ভাল করে সামলে উঠতে পারেননি তিনি। ক্ষমতায় এসেই একের পর এক দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সারিতে নতুন সংযোজন শরণার্থী খেদাও বা শরণার্থী হঠাও অভিযান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন, আর বিলম্ব নয়। আমেরিকাকে শরণার্থী মুক্ত করতে হবে। চুলোয় যাক মানবিকতা, মনুষ্যত্ববোধ, মানবাধিকার, শরণার্থীদের কোনও ঠাঁই নেই এদেশে।
অতএব
আমেরিকাবাসী
হওয়ার
সুখ-স্বপ্নের
স্মৃতিতে
এখানেই
ইতি
টানতে
হবে
মেক্সিকো
ও
মধ্য
আমেরিকা
থেকে
আসা
শরণার্থীদের।
আর
দলে
দলে
মার্কিন
মুলুকে
জবরদখল
করে
সুবিধা
ভোগ
করতে
পারবেন
না
তাঁরা।
ট্রাম্প
অন্তত
তাই
মনে
করেন।
অর্থ
থাকলেই
যে
সেটা
বিলি
করতে
হবে
এমন
ভাবনার
কোনও
ঠাঁই
নেই
আমেরিকার
এই
ধনকুবের
শাসকের
কাছে।
এদিকে সামনেই ভোট। হঠাৎ করে শরণার্থী হঠাও অভিযান শুরু করলে যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। দলে দলে স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা এবং মানবাধিকার রক্ষাকারী একাধিক সংস্থা যে প্রতিবাদে সরব হবে সে হুঁশ নেই তাঁর। অর্থ আছে তো। যার জোরে ভোট কিনতে ক'মিনিট আর লাগবে। মনে মনে হয়তো এমনটা ভেবেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সেকারণে শরণার্থী খেদাও অভিযানের কথা ঘোষণা করে আবার টুইটে বলেছেন, গুয়াতেমালার শাসকের সঙ্গে নাকি তাঁর আলোচনা হয়ে গিয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষিত করে মার্কিন মুলুকে বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধে সম্মতি জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প দাবি করলেও গুয়াতেমালা কিন্তু এই নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি। অতএব বোঝাই যাচ্ছে পরিকল্পনা আসলে কার। এখন অনেক্ষা শুধু ভোটের।