পুলওয়ামা 'ভয়ানক ঘটনা', দোষীদের কড়া শাস্তি দিক পাকিস্তান, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ায় বাড়ল চাপ
পুলওয়ামায় পাকিস্তানের কোনও সংযোগের কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পুলওয়ামায় পাকিস্তানের কোনও সংযোগের কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু, মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়ায় সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলাকে এক 'ভয়ানক ঘটনা' বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যেভাবে জইশ-ই-মহম্মদ-এর জঙ্গিরা হামালা চালিয়েছে তাতে একটা 'ভয়ানক পরিস্থিতি' তৈরি হয়েছিল বলেই মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এই ঘটনাকে ঘিরে ভারত ও পাকিস্তান একসঙ্গে কাজ করে তাহলে সেটা একটা অসাধারণ পদক্ষেপ হবে বলেও মনে করছেন ট্রাম্প। তাঁর মতে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশ একসঙ্গে কোনও একটা লক্ষ্য়ে কাজ করছে এটা সত্য়ি একটা অসামান্য ব্যাপার। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার তদন্তে পাকিস্তান য়াতে সাহায্য করে সে কথাও বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে রিপোর্টারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, দুই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ যদি একসঙ্গে চলা শুরু করে তাহলে সত্যিকারেই 'অসাধারণ' বিষয় হবে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি লক্ষ্য রাখছি। আমি এই বিষয়ে ইতিমধ্যে অনেক তথ্যই সংগ্রহ করেছি। ওটা ছিল একটা ভয়ানক মুহূর্ত। আমরা রিপোর্ট পাচ্ছি। আমরা এই নিয়ে সরকারিভাবে বিবৃতিও জানাবো।'
এদিকে, আলাদা একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি স্পোক পার্সন রবার্ট পাল্লাদিনো জানান, 'মার্কিন সরকার এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে চলেছে। আমরা শুধু আমাদের শোকবার্তা দেইনি, আমরা ভারতের অবস্থানকেও সমর্থন জানিয়েছি। '
সেইসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, 'তদন্তে পুরোপুরি সাহায্য়ের জন্য পাকিস্তানের কাছে আমরা আর্জি জানাচ্ছি। যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হোক।'
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের স্পোকপার্সন-এর প্রতিক্রিয়ার আগে অবশ্য সে দেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্য়াডভাইসার জন বোল্টন ভারতের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা-কে সমর্থন করেন। তিনি বলেছিলেন পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার জেরে ভারত যদি আত্মরক্ষার তাগিদে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা সমর্থনযোগ্য।
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার মিস্টার বোল্টন, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স- প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা করে পুলওয়ামা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সামনে যখন পরিষ্কার যে পুলওয়ামায় পাকিস্তানের মাটিতে চলা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ-এর হাত আছে, তখনও গলা উচু করে ইমরান খান এই ঘটনার সঙ্গে পাক সংযোগের কথা অস্বীকার করে যাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর প্রশাসন যেভাবে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ইস্যুতে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন জানাচ্ছে তাতে পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়ছে বই কমছে না বলেই মনে করছে কূটনীতিক মহল।