গায়ে ছিল বিস্ফোরক জ্যাকেট! বিচার হয়েছে বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদীর, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
আমেরিকার প্রেডিডেন্ট রবিবার সকালে ঘোষণা করেন আইএসআইএস প্রধান আবু বকর অল বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে। তা সম্ভব হয়েছে সিরিয়ায় আমেরিকার বিশেষ বাহিনীর হানায়।
আমেরিকার প্রেডিডেন্ট রবিবার সকালে ঘোষণা করেন সন্ত্রাসবাদী তথা আইএসআইএস প্রধান আবু বকর অল বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে। তা সম্ভব হয়েছে সিরিয়ায় আমেরিকার বিশেষ বাহিনীর হানায়। গত পাঁচ বছর ধরে আমেরিকার বাগদাদিকে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলা নিজেকে খলিফা ঘোষণা করে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল বাগদাদি।
রবিবার সকালে ট্রাম্প জানান, শনিবার রাতে আমেরিকা বিশ্বের একনম্বর সন্ত্রাসবাদীর বিচার করেছে। সে অসুস্থ ও অশান্ত ছিল, চলে গিয়েছে, মন্তব্য করেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, অভিযান ছিল বিপজ্জনক এবং সাহসী। আমেরিকার বিশেষ দল হেলিকপ্টারে হানা দেয়। আর এলাকাটি ছিল উত্তর পশ্চিম সিরিয়ার অন্যতম অস্থির অঞ্চল। আমেরিকার বাহিনীর আগমন উপলব্ধি করে মাটির নিচে লুকনোর চেষ্টা করে সে। মৃত্যুর আগে বিস্ফোরণ ঘটায়। তার গায়ে ছিল বিস্ফোরক জ্যাকেট। বিস্ফোরণে সঙ্গে থাকা তিন সন্তানের মৃত্যু হয়। অনুমান তার সন্তানের সংখ্যা ছয়।
আইএসআইএস একটা সময়ে গ্রেট ব্রিটেনের সমান অংশ দখল করেছিল। ব্যাপক পরিমাণ অস্ত্রও জোগার করেছিল। যা ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় পশ্চিমি দেশগুলির কাছে। যদিও পরবর্তী সময়ে আমেরিকার সমর্থন পুষ্ট সিরিয়া এবং ইরাকি বাহিনীর হাতে ক্ষমতা হারায় আইএসআইএস। যদিও বাগদাদির মৃত্যুর পরেই আইএসআইএস-এর বড় বাহিনী এখন অটুট রয়েছে।
আমেরিকার গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক কালে শীর্ষ এই জঙ্গি নেতার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে তারা। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে প্রথম বাগদাদির উপস্থিতির কথা জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল বৃহস্পতিবার এই অপারেশন চালানো যেতে পারে। কিন্তু ট্রাম্প জানান শনিবার সকালে অভিযান চালাতে। এই অভিযানে আমেরিকার বিশেষ বাহিনীর দুই সদস্যের সামান্য আঘাত লেগেছে। এদিকে এই অপারেশনে বাগদাদির একাধিক স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারাও বিস্ফোরক জ্যাকেট পরে ছিল।
আমেরিকার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই অভিযানে তারা রাশিয়ার সাহায্যও পেয়েছে। কেননা রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার অল আসাদের বড় সমর্থনকারী। এছাড়াও সিরিয়ার তারা সামরিক সাহায্য দিয়ে থাকে।
অভিযানের বর্ণনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, অন্ধকারের মধ্যে সিরিয়ার ইডলিবে নামানো হয়েছিল আমেরিকার আটটি হেলিকপ্টার। মৃত্যুর পরেই বাগদাদির শরীর থেকে নমুনা নেওয়া হয় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। ট্রাম্প জানিয়েছেন, অভিযান চালানোর আগে এলাকা থেকে প্রায় এক ডজনের মতো শিশুকে সরানো হয়েছে। তবে তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।