পাকিস্তানের পর চিনের সঙ্গে ভারতের সন্ধি নিয়ে নাক গলানোর চেষ্টা ট্রাম্পের আমেরিকার
ভারত ও চিনের মধ্যে আরও একবার সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা। এই পরিস্থিতি দিল্লি-বেজিংয়ের মধ্যে বিবাদ মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, অঞ্চলভিত্তিক অধিকারকে কেন্দ্র করে একাধিক জটিল এবং বিতর্কিত বিষয়ের জেরে ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ভারত-চিনকে ট্রাম্পের বার্তা
এই বিষয়ে এদিন টুইট করে ট্রাম্প লেখেন, 'আমি ভারত ও চিন উভয়পক্ষকেই জানিয়েছি যে সীমান্তে চলমান বিবাদ নিয়ে মধ্যস্থতা করতে আমেরিকা রাজি রয়েছে।' এর আগে ভারত-পাক-এর মধ্যকার কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও একই ভাবে নাক গলানোর চেষ্টা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভআরতের পাশে আমেরিকা
এর আগে অবশ্য ভারত-চিন উত্তেজনায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছিল দিল্লি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেজিংয়ের তৈরি করা উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে বিকরক্তিকর বলে আখ্যা দিয়েছিল। চিনের এই উস্কানিমূলক ও বিরক্তিকর আচরণ প্রশ্ন তুলেছে যে কীভাবে বেইজিং তার ক্রমবর্ধমান শক্তিগুলি ব্যবহার করতে চায়।
দুই দেশের তরফেই সেনার সংখ্যা অনেকটাই বেশি
স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এলএসি এলাকায় দুই দেশের তরফেই সেনার সংখ্যা অনেকটাই বেশি এবং বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, পূর্ব লাদাখসহ গালওয়ান নালা এলাকায় এবং প্যাঙগং লেকের উত্তর দিকে অন্তত পাঁচটি এলাকায় প্রায় ১৫০০ চিনা সেনা চোখে চোখ রেখে মুখোমুখি প্রত্যাঘ্যাত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
শান্তি বজায় রাখতে মরিয়া ভারত-চিন
যদিও এটা তাৎপর্যপূর্ণ যে, বিষয়টি নিয়ে বিনয় দেখিয়েছে ভারত এবং চিন উভয়ই। কোনও দেশই এনিয়ে সরকারিভাবে এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি, যাকে উত্তেজক বলা যায়। ভারতে স্থিত চিনা রাষ্ট্রদূতও পুরো বষয়টি শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি চাইছেন।
আঞ্চলিক ক্ষমতা বজায় রাখার লড়াই
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারের জটিলতার জেরে উভয় দেশই ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাতে তাদের সমস্যার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি এবং এর অন্তত সাত দশক পরও সম্পর্কে সেই অস্বস্তি চলছে। এদিকে এরই মধ্যে লাদাখের প্যাঙগং লেক থেকে ২০০ কিমি দূরে গারি গুনশা ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে চিন। একটি উপগ্রহ চিত্রে এই দৃশ্য দেখা যায়।
একদিকে কূটনৈতিক বোঝাপড়ার বার্তা, অন্যদিকে সীমান্ত ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান! কোন খেলায় মজেছে চিন?