করোনাকালে সর্বাধিক ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
করোনা আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে গেলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার সকালে নিজেই একথা টুইট করে জানান মার্কিন রাষ্ট্রপতি। এদিকে করোনাকালে ভুলে তথ্যের ঘনঘটা বেড়েই চলেছে গোটা বিশ্বজুড়েই। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতেও সেগুলি নিয়ে চলেছে জোরদার আলোচনা। এমতাবস্থায় দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রান্ত সবথেকে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

করোনাকালে সর্বাধিক ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্টের
করোনার ওষুধ হোক বা চিকিৎসা, সমস্ত বিষয়েই করোনাকালে একাধিক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। তালিকায় আছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট শাইর বলসোনারোও। কিন্তু ট্রাম্পের মতো সবজান্তার বেশে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত ভুল তথ্য কেউই ছড়ায়নি বলে জানাচ্ছে আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা। বৃহস্পতিবারই এই সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে নিয়ে আলা যায় বলে জানা যাচ্ছে।

ট্রাম্পের ভুয়ো তথ্যের ফাঁদে পা দিয়েছে ভারতও
সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট তৈরির জন্য চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ইংরাজী ও একাধিক মিডিয়া হাউস দ্বারা প্রকাশিত প্রায় ৩.৮ কোটি আর্টিকেলের বিশ্লেষণ করেন কর্নেল অ্যালায়েন্স ফর সায়েন্সের একটি গবেষক দল। তারপরেই দেখা যাচ্ছে করোনাকালে সর্বাধিক ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। আর সেই ফাঁদে পা দিয়েছে ভারতের মতো একাধিক দেশ। যার জেরে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের ব্যবহার নিয়েও ছড়ায় বিভ্রান্তি।

৫ লক্ষ ২২ হাজার ৪৭২টি প্রতিবেদনে সরাসরি ভিত্তিহীন দাবি ট্রাম্পের
এর জন্য গবেষকেরা যে ডেটাবেস ব্যবহার করেছে তাতে আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারত, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অন্যান্য আফ্রিকান এবং এশীয় দেশগুলিরও সম্মিলিত রিপোর্ট রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার মধ্যে ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৪৭২টি আর্টিকেলে সরাসরি করোনভাইরাস মহামারী সম্পর্কিত ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন ট্রাম্প। এদিকে করেনাকালে ভুল তথ্যের এই বাড়বাড়ন্তকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই "ইনফোডেমিক" বলেও অভিহিত করেছে।

মূলত কোন কোন ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সংবাদ শিরোনামে আসেন ট্রাম্প?
এদিকে এর আগে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের ব্যবহার নিয়েও একাধিক ভুয়ো তথ্য ছড়াতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। একিইসাথে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবাণুনাশক ব্যবহারেরও নিদান দিতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়েই তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি মনে করি করোনা আক্রান্ত রোগীকে জীবাণুনাশকের ইঞ্জেকশন দিলে হয়ত করোনা সেরে যাবে৷' পাশাপাশি করোনা রোগীকে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির নীচে রেখেও রোগ সারানোপ কথা বলতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। একইসাথে করোনাকে চিনের ‘জৈব অস্ত্র' বলে দাবি করেও পরবর্তীতে এই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ না দিতে পেরে বিপাকে পড়তে দেখা যায় ট্রাম্পকে।
ধনখড়ের সামনেই তোপ ব্রাত্যর, 'নৈ-রাজ্যপাল' বলে আক্রমণ রাজ্যের মন্ত্রীর