এইচ-১বি ভিসায় স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্তে সোমবারই চূড়ান্ত সিলমোহর ট্রাম্পের
আগেই শোনা গিয়েছিল এইচ-১বি ভিসা বন্ধের পথে হাঁটতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার সেই সিদ্ধান্তেই সোমবার চূড়ান্ত সিলমোহর দিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। করোনা মহামারির জেরে ক্রমেই বেহাল অবস্থা হচ্ছে আমেরিকা। আর্থিক মন্দার জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব।

কোন কোন ভিসায় কোপ পড়তে পারে ?
গত দু-মাসে কাজ হারিয়েছেন কয়েক কোটি যুবক যুবতী। এমতাবস্থায় বেকারত্ব ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসন এইচ ১বি ভিসায় স্থগিতাদেশের প্রস্তাব বিবেচনা করছে বলে গত মাস থেকেই জল্পনা চলছিল। সূত্রের খবর, এইচ-১বি-র পাশাপাশি কোপ পড়তে পারে এইচ-২বি, জে-১, এল-১-এ মতো স্বল্পমেয়াদী কাজের ভিসাতেও।

৭০ শতাংশ ভিসাই ভারতীয়দের
বর্তমানে সরকারে এই সিদ্ধান্তের আমেরিকার একটা বড় অংশের মানুষের মুখে হাসি ফুটবে বলে মত ট্রাম্পের। যদিও ভোটের আগে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক কৌশল হিসাবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এদিকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের জেরে আমেরিকায় কর্মরত অনেক ভারতীয়ই চাকরি হারাবার আশঙ্কা করছেন। সূত্রের খবর, প্রতিবছর এই খাতে যত সংখ্যক ভিসা বিদেশিদের জন্য ইস্যু করা হয় তার ৭০ শতাংশ বা প্রায় ৮৫০০০ ভিসাই ভারতীয়দের।

সর্বাধিক ক্ষতির মুখে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা
এদিকে এইচ১বি ভিসা নিয়ে বহু ভারতীয়ই আমেরিকায় চাকরি করতে যান। পাশাপাশি সর্বাধিক ক্ষতির মুখে পড়বেন সেদেশে প্রযুক্তি পেশার সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য বিদেশীরা যারা এইচ ১বি(H1B) ভিসা নিয়ে সেখানে থাকছেন। সূত্রের খবর, স্কলারশিপ নিয়ে অনেকে গবেষণার কাজেও যান এই ভিসায়।

প্রশ্ন উঠছে ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতি নিয়ে
প্রস্তাবিত স্থগিতাদেশ ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরেও কার্যকর হতে পারে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে আমেরিকায় তীব্র আর্থিক মন্দার জেরে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসা বাতিলের পথে হাঁটতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই সঙ্কটকালীন মুহূর্তে দেশীয় নাগরিকদের স্বার্থ সুনিশ্চিত করতে গিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আমেরিকায় কর্মরত অনেক প্রবাসী নাগরিককের ভবিষ্যৎ সঙ্কটে পড়ে যাওয়ায় ট্রাম্পের এই ‘আমেরিকা ফার্স্ট' নীতি প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
২৩ জুন ভারত–চিন–রাশিয়ার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক, কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন রাজনাথ