ওবামা-ক্লিন্টনের কাছে সন্দেহজনক পার্সেল বোমা! ক্ষিপ্ত ট্রাম্প যা বললেন
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-সহ আমেরিকার বেশ কিছু নেতানেত্রীকে সন্দেহজনক পার্সেল পাঠানোর ঘটনার নিন্দা করলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ঘটনায় একতা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-সহ আমেরিকার বেশ কিছু নেতানেত্রীকে সন্দেহজনক পার্সেল পাঠানোর ঘটনার নিন্দা করলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ঘটনায় একতা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। যদিও, এফবিআই-এর তরফে ইউএস রিপ্রেসেন্টেটিভ ম্যাক্সিন ওয়াটারের কাছে পাঠানো পার্সেলের কথা স্বীকার করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেছেন, একতা বজায় রেখে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। কেননা আমেরিকায় রাজনৈতিক হিংসার কোনও জায়গা নেই।
মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। সরকার পূর্ণ শক্তি দিয়ে ঘটনার তদন্ত করছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিন্টন-সহ বহু নেতার কাছে সন্দেহজনক বস্তু-সহ পার্সেল পাঠানো হয়েছিল। পৃথিবী বিখ্যাত একটি সংবাদ মাধ্যমের অফিসেও পার্সেল পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসে এমন প্যাকেট পাঠানো হলেও, আগেই তা আটকে দেওয়া গিয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের আধিকারিকদের উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মার্কিন রাজনীতিক এবং সংবাদ মাধ্যমের অফিসে বম পাঠানো হয়েছিল।
সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, ওবামা কিংবা ক্লিনটন কেউই পার্সেল গ্রহণ করেননি। রুটিন মেল স্ক্রিনিংয়ের সময় পার্সেল বোমা সন্দেহে প্যাকেটগুলি আটক করা হয়।
অন্য একটি সূত্রে থেকে জানা যাচ্ছে পার্সেলে বিস্ফোরক তৈরির পাউডার পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে বোমা তৈরি করা যায় সহজেই।
নিউ ইয়র্কের চাপ্পাকুয়ায় ক্লিন্টনের বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই প্রথম পার্সেলটিকে আটক করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে বাকিগুলির খোঁজ পাওয়া যায়। ২০০১ সালে হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন বিল ক্লিন্টন।