মার্কিন রণতরীর প্রবেশ নিয়ে ইরান-আমেরিকা বিতণ্ডা তুঙ্গে; মার্কিন উপদেষ্টা অজ্ঞ, বললেন তেহরানের নেতা
মার্কিন রণতরীর প্রবেশ নিয়ে ইরান-আমেরিকা বিতণ্ডা তুঙ্গে; মার্কিন উপদেষ্টা অজ্ঞ, বললেন তেহরানের নেতা
ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকচাআকচির প্রসঙ্গ নতুন নয়। ঠিক এক বছর আগে ৮ মে মধ্য এশিয়ার দেশটির সঙ্গে বহুদেশীয় পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে আসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা কারণ তাদের মনে হয়েছিল বারাক ওবামার সময়ে সাক্ষরিত হওয়া ওই চুক্তির ফলে তেহরান অন্যায্যভাবে উপকৃত হচ্ছিল। চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে মার্কিনিরা ইরানের উপরে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়; সারা বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে ওই দেশটিকে একঘরে করার ভয়ও দেখায়। ইরানও পাল্টা হুমকি দেয়, বলে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লালচক্ষুকে ডরায় না।
বোল্টনের সাবধানবানী পরেই উড়ে এল ইরানি প্রতিক্রিয়া
এই চলতে থাকা তরজার মধ্যে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিল এর মুখপাত্র কেভান খোশরাভি গত সোমবার, ৬ মে, একচোট নেন মার্কিন প্রশাসনকে। ওয়াশিংটনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে লক্ষ্য করে বলেন যে তিনি সামরিক এবং সুরক্ষা বিষয়ে কিছুই জানেন না! খোশরাভি কেন এই বাক্যবাণটি নিক্ষেপ করলেন? কারণ, এর ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ ৫ মে বোল্টন ঘোষণা করেন যে ইরানের "উস্কানিমূলক কথাবার্তা এবং চেতাবনি"র জবাবে আমেরিকা ইউএসএস এব্রাহাম লিঙ্কন ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রূপ ইউএস সেন্ট্রাল কম্যান্ড অঞ্চলে পাঠাচ্ছে। অর্থাৎ, পরোক্ষে সামরিক সাবধানবাণী।
তেহরান টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ওই রাজনৈতিক নেতা বোল্টনকে, যাঁকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে "যুদ্ধবাজ" বলে ডাকেন অনেকেই, সরাসরি কটাক্ষ করে বলেন যে সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি অজ্ঞ এবং যে সমস্ত মন্তব্য তিনি করেন তা শুধুমাত্র দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে।
'বোল্টন অজ্ঞ'
খোশরাভি এও বলেন যে ইরানের সামরিক সূত্রের মতে এব্রাহাম লিঙ্কন ক্যারিয়ারটি ভূমধ্যসাগরে সপ্তাহ খানেক আগেই প্রবেশ করেছে কিন্তু বোল্টন এখন এই রক্ত গরম করা উক্তিটি করছেন মনস্তাত্বিক লড়াইয়ের কারণে।
আমেরিকা যুদ্ধ করবে না, বললেন প্রাক্তন ইরানি কূটনীতিবিদ
ইরানের প্রাক্তন উপ-বিদেশমন্ত্রী আলাদিন বরোজের্দি বলেন যে ইরানের সামরিক শক্তিকে কেউ হেয় করে থাকলে তা হবে মারাত্মক ভুল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহস নেই তেহরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার।