ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের করতে পারে তাঁরই ক্যাবিনেট! বেনজির পরিস্থিতি আমেরিকায়
মার্কিন মুলুকের রাজধানীতে দাঙ্গা বাঁধিয়ে সবার রোষের মুখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরেই ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার রব উঠতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী ব্যবহার করার জন্য দেশটির ক্যাবিনেটের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এই বিষয়ে। এই আবহে ট্রাম্পের নিযুক্ত ক্যাবিনেট প্রেসিডেন্টকে সরানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
২৫তম সংশোধনী কী?
২৫তম সংশোধনী কী? মার্কিন সংবিধানের এই সংশোধনী অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট যদি তাঁর কার্যক্রম পরিচালনায় অসমর্থ বিবেচিত হন, তবে নতুন কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া যায়। তবে এ জন্য কেবিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সেরও সম্মতির দরকার হবে। তাঁরা কংগ্রেসের কাছে এই মর্মে চিঠি লিখবেন যে পেন্স ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন। কারণ, ট্রাম্প এ দায়িত্ব পালনে অসমর্থ।
ট্রাম্পের সঙ্গ ছাড়ছেব তাঁর দলের লোকরাই
হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গ ছাড়েন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউস। সরব হয়েছেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই। গতকালই জর্জিয়ায় সিনেটের ভোটে হেরে যান রিপাবলিকান প্রার্থী কেলি লয়েফলার। তাঁর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন স্বয়ং ট্রাম্প। তবে তিনিও এই ঘটনার সমালোচনায় সরব।
সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ভিতরে যখন এই তাণ্ডব চলছে, তখন বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেন। বলেন, 'আমরা জানি নির্বাচন আমাদের থেকে চুরি করে নেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচন ধসের মতো, সেটা সবাই জানে বিশেষ করে বিরোধী শিবির। কিন্তু আপনাদের এখন ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত। আমাদের উচিত আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমরা কাউকে আঘাত করতে চাই না।'
ট্রাম্পের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার কোপ
ট্রাম্পের এই টুইট বার্তার পর টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। হিংসায় প্ররোচনা বন্ধ করতে প্রথমে ওই টুইট বার্তার রিপ্লাই ও রিটুইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১২ ঘণ্টার জন্য ট্রাম্পের টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও ট্রাম্পের ভিডিও বার্তা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইনস্টাগ্রামও একই সিদ্ধান্ত নেয়।