চিনের সঙ্গে আমেরিকা তলে তলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গাঢ় করার দিকে যাচ্ছে! টিকটক নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ
টিকটককে ভারত নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকে আমেরিকা এই সিদ্ধান্তের প্রবল প্রশংসা করে। মার্কিন কংগ্রেস মোদী সরকারের প্রশংসায় একটি রিপোর্টও দেয় ট্রাম্পকে। পরবর্তীকালে মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তরফেও টিকটকের মতো অ্যাপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে জোরালো বার্তা দেওয়া হয়। এরপর যে টিকটক নিয়ে গোটা বিশ্বের রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে, সেই টিকটক সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য উঠছে।
টিকটক ও বাণিজ্য নীতি
যে টিকটককে মার্কিন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় 'আশঙ্কা' বলে মনে করা হচ্ছে, সেই টিকটকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে মার্কিন সংস্থা টুইটার। এই খবর প্রকাশ করেছে ডউ জোনস।
কোনস্তরে সম্পর্ক?
জানা গিয়েছে,চিনা টিকটকের মার্কিন অপরেশনের সঙ্গে মার্কিন সংস্থা টুইটারের প্রাথমকি কথা হয়েছে। তাতে মার্কিন মুলুকে টিকটকের যে অংশ রয়েছে, তা সম্ভবত টুইটারের সঙ্গে আগামীদিনে গাঁটছড়া বাঁধবে। মূলত, যে আমেরিকার চক্ষুশূল চিন, সেই আমেরিকার সংস্থার সঙ্গে চিনা সংস্থার এমন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বহু দেশের ফোকাস লেন্সেই রয়েছে।
দুই মার্কিনি সংস্থার সংঘাত
টিকটকে সঙ্গে নেওয়ার জন্য মার্কিন সংস্থা মাইক্রোসফট বহুদিন ধরেই চেষ্টা করে চলেছে। বেজিংয়ের সংস্থা বাইট ডান্সের আওতায় থাকা টিকটক নিয়ে মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেলার সঙ্গে ট্রাম্পের কথাও হয়েছে বলে খবর। তবে সেই আলোচনার মাঝখান দিয়ে টুইটার নিজের ভাগ তুলে নিয়ে সাফল্য পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ট্রাম্প ও টিকটক
টিকটককে মার্কিন মুলুকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখার বিষয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছে সংস্থা। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইছে টিকটক। এদিকে, ট্রাম্পেরই দেশের সংস্থার সঙ্গে টিকটকের গাঁটছড়া নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইছে না সংস্থা।