হিলারির হারের কয়েকঘন্টার মধ্যেই দাবি উঠল মিশেলকে ২০২০-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার
রাষ্ট্রপতি সহ সবক'টি নির্বাচনে হেরে ডেমোক্র্যাটদের কাছে এখন মিশেলই ভরসা?
নিউ ইয়র্ক, ৯ নভেম্বর : ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টন হারতে না হারতেই দাবি উঠে গেল ২০২০ সালের পরবর্তী নির্বাচনে প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার প্রার্থী করার।
মঙ্গলবারের (নভেম্বর ৮) নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতার সঙ্গে সঙ্গেই বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শুরু করেন সমর্থকেরা এবং তার মধ্যেই উঠে আসে মিশেলকে চার বছর পরের নির্বাচনে প্রার্থী করার।
যদিও ওবামাকে বিভিন্ন সাক্ষাৎকার শুনে বোঝা গিয়েছে যে মিশেল ঠিক রাজনীতিতে আগ্রহী নন, কিনতু ভক্তরা আশা ছাড়ছেন না। বিশেষ করে, এবছরের নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে ফাঁস হয়ে যাওয়া টেপ নিয়ে যখন মার্কিন রাজনীতি তোলপাড়, তখন মিশেলের আবেগপূর্ণ ভাষণ শুনে অনেকেই আপ্লুত হয়েছিলেন।
এবছরের ডেমোক্র্যাট কনভেনশনে তাঁর "হোয়েন দে গো ডাউন, উই গো আপ" উক্তিটিও যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছিল। মনে করা হয়েছিল, অরাজনৈতিক হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তাঁকে প্রয়োজন। আর এবার হিলারির পরাজয়ের পরে সেই ভাবনাই যেন আরও বড় রূপ পেল।
এই মুহূর্তে অবশ্য ৫২ বছর বয়সী মিশেল ওবামার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কেউই কিছু জানেন না। স্বামী বারাকের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি মিশেলের সুনাম রয়েছে একজন সক্রিয় সামাজিক কর্মী হিসেবে। মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে তাঁর 'লেটস গার্লস লার্ন' উদ্যোগের কথা সুবিদিত।
গত আট বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সে-দেশের ফার্স্ট লেডি হিসেবে নিজের সুচিন্তিত মতামত পেশ করে মিশেল বুঝিয়েছেন যে তিনি নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
ট্রাম্পের নাম একবারও উচ্চারণ না করে মিশেল যেভাবে এবারের প্রচারে তাঁকে বিঁধেছেন তাতেই সাধারণ মানুষের তাঁর উপরে ভরসা বেড়েছে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে।
মিশেল সত্যি রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন কিনা তা তিনিই জানেন কিন্তু এবারের হতাশাপূর্ণ মার্কিন নির্বাচনের পর ডেমোক্র্যাটদের সামনে তিনিই আশার আলো।