'টিকটক বনাম ট্রাম্প' লড়াইয়ে নয়া মোড়! মার্কিন মুলুকে চিনা অ্যাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের জল্পনা
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া চিন বিরোধিতায় নেমেছিলেন। চিনের বিরুদ্ধে সব থেকে বড় নেতা হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ভআরতের দেখাদেখি চিনা অ্যাপ নিয়েও কড়া ব্যবস্থার পথে হেঁটেছিলেন তিনি। এবং সেই পথেই হেঁটেই গত সপ্তাহে চিনা অ্যাপ টিকটককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প।
জোর ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই জোর ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬ অগাস্ট নিরাপত্তায় হানিকারকের আশঙ্কায় ওই দুই অ্যাপস-এর মালিকানা বাইটডান্স কোম্পানিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৫ দিন সময় দেন যা আগামী রবিবার শেষ হচ্ছে। অ্যামেরিকার বাণিজ্যিক সম্পাদক উইলবার রস জানান, 'চিনের হাত থেকে আমেরিকার নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।'
ট্রাম্পের জারি করা নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন চিনের কোম্পানি বাইটডান্স লিমিটেডের অ্যাপ্লিকেশন টিকটকে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সেই ঝুঁকির কথা উড়িয়ে দিয়ে এদিন আদালতে টিকটক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়। ট্রাম্পের জারি করা নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিল মার্কিন আদালত।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ডাউনলোড বন্ধ হচ্ছে না
আদালতের এই রায়ের ফলে তাই এখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ডাউনলোড বন্ধ হচ্ছে না। এর আগে অবশ্য ট্রাম্প জানিয়েছইলেন, মার্কিন ব্যবহারকারীদের যেসব তথ্য টিকটকের ঘরে জমা পড়েছে, তা নষ্ট করে ফেলতে হবে বাইটডান্সকে। সব তথ্য নষ্ট করা হয়ে গেলে মার্কিন মুলুকের ফরেন ইনভেস্টমেন্ট কমিটিতে তা জানাতে হবে। যদিও এই সব বিষয়ে নিয়ে আগেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিল বাইটডান্স।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলায় জয় টিকটকের
ট্রাম্পের আদেশ জারির পর টিকটক বন্ধের নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করেছিল টিকটক। তারা দাবি করেছিল, ট্রাম্পের আদেশ আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক শক্তি আইনের অপব্যবহার। বেজিংয়ের তরফে একই সুরে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল ওয়াশিংটনকে। আর সেই মামলার প্রেক্ষিতেই জয় পেল টিকটক।