রাশিয়ার এস-৪০০ কেনায় ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ রুখতে প্রস্তাব পাস মার্কিন কংগ্রেসে
রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এস ৪০০ কেনার উপর ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা রুখতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পাস হল।
রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এস ৪০০ কেনার উপর ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা রুখতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পাস হল। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ধ্বনিভোটে পাস হয়ে যায় প্রস্তাব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্টের ফ্লোর টেস্টের অংশ হিসেবে এই প্রস্তাব পাস করা হয়।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান কংগ্রেসম্যান রো খান্না মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সভায় সংশোধনী প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবে চিনের মতো আগ্রাসী দেশগুলির মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসনের প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিষদ করো খান্নার সেই সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছে। ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থায় এস ৪০০ কেনার উপর আর কোনও বাধা থাকছে না।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত কংগ্রেসম্যান রো খান্নার ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্টের সংশোধনী প্রস্তাব পাস করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে চলার পথ প্রশস্ত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝখানে রাশিয়া থেকে এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করার জন্য নয়াদিল্লি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করে। তা ভারত-মার্কিন সম্পর্কে প্রভূত প্রভাব ফেলে। ভারতের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার হুঙ্কার দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন এ ব্যাপারে ভাবিত, তখনই প্রতিনিধি পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন করেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত কংগ্রেসম্যান রো খান্না। তাঁর প্রস্তাবে বরফ গলে। মার্কিন কংগ্রেসে সংশোধনী পাস হয়ে যায়। ২০১৭ সালে মার্কিন কংগ্রেস দ্বারা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দার সঙ্গে সংযোগ রাখা যে কোনও দেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে একটি আইন পাস করে। সেই আইনেরই সংশোধনী আনতে প্রস্তাব করেন করেন রো খান্না। যাতে ভারতের জন্য আইনে ছাড় দেওয়া হয়, সেটাই ছিল মার্কিন কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাব।
এরপর রো খান্না বলেন, এই সংশোধনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে। আমেরিকা-ভারত অংশীদারিত্বের থেকে আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই। এই সংশোধনীটি মার্কিন-ভারত পারমানবিক চুক্তির পর দু-দেশের সম্পর্ককে উন্নীত করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খান্না বলেন, ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অংশীদারিত্বকে নিশ্চিত করবে এই সংশোধনীটি। চিনের মতো আগ্রাসীদের ঠেকাতে সাহায্য করবে। তিনি মনে করেন, চিনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের মুখে ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।