রাশিয়ার তেলই ভারতের হাত ধরে আমেরিকায় পৌঁছে যাচ্ছে না তো! উদ্বেগ প্রকাশ ওয়াশিংটনের
রুশ জাহাজ থেকে আনা তেলই পাঠানো হচ্ছে আমেরিকায়। আর সেই কাজ করছে ভারত! এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে আমেরিকার তরফে। রাশিয়া পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আমেরিকার। কিন্তু ভারত সেই রাশিয়ার তেলই মার্কিন মুলুকে পৌঁছে দিচ্ছে না তো
রুশ জাহাজ থেকে আনা তেলই পাঠানো হচ্ছে আমেরিকায়। আর সেই কাজ করছে ভারত! এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে আমেরিকার তরফে। রাশিয়া পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আমেরিকার। কিন্তু ভারত সেই রাশিয়ার তেলই মার্কিন মুলুকে পৌঁছে দিচ্ছে না তো? এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার আমেরিকার সেই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার ট্রেজারি বিভাগের তরফে ভারতের কাছে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
আমেরিকার দাবি, ভারত নাকি সমুদ্র পথে রাশিয়ার ট্যাঙ্কার থেকে তেল সংগ্রহ করছে। তারপর সেই তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গুজরাতের বন্দরে। সেখানে তেল পরিশোধন হয়। আর তারপর সেই তেল নিয়ে যাওয়া হয় নিউ ইয়র্কের দিকে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের ওপর রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পরই মস্কো থেকে আসা পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। কয়লা, গ্যাস, তেল কোনও পণ্যই আর আমদানি করা হয় না। এ দিন স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে মাইকেল পাত্র জানান, পরিশোধিত তেল রাখা হচ্ছে জাহাজেই। তারপর সেটা উদ্দেশ্যহীণভাবেই রওনা হচ্ছে। দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের তরফে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আমেরিকা যে এ ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, সেটা এ দিন প্রথম সামনে এল ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্রের কথায়। বিশ্বের তেল আমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ভারত সাধারণত রাশিয়া থেকে তেল কেনে না।
কিন্তু, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অপেক্ষাকৃত কম দামে তেল বিক্রি করছে মস্কো। তারপর থেকেই ভারত তেল কিনছে রাশিয়া থেকে।যুদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পর অনেক দেশ রাশিয়ার বিরোধিতা করলেও বিরোধিতা করেনি ভারত। মনে করা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের একটা কৌশলী সম্পর্ক বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে ভারত স্বার্থের কথা মাথায় রেখে চলছে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।