প্রভাব ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কে? জবাব দিতে হবে দিল্লিকে, স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে দাবি মার্কিন কমিশনের
প্রভাব ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কে? জবাব দিতে হবে দিল্লিকে, স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে দাবি মার্কিন কমিশনের
কম্পিউটার হ্যাক করে ভুয়ো নথি ঢোকানোর কথা জানাজানি হতেই স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে বিস্তর চাপানৌতর। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ এমনকী ইউরোপীয় ইউনিয়নও। চাপে পড়েছে মোদী সরকার। এমতাবস্থায় এবার স্বামীর মৃত্যুতে সরাসরি গভীর শোকপ্রকাশ করল মার্কিন প্রশাসন। নয়া দিল্লির সঙ্গে 'বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের’ আবহে ওয়াশিংটনের এই কাজ দিল্লির কূটনীতিকদের যে নতুন করে মাথা ব্যাথার কারণ হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
গভীর শোকপ্রকাশ বাইডেন প্রশাসনের
বুধবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার অফিস মারফত একটি টুইট করে শোকপ্রকাশ করা হয়। ওই টুইটেই লেখা হয়, "বেআইনী কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে গ্রেফতার ও পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন জেসুইট পুরোহিত ও উপজাতির অধিকার কর্মী ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। এই ঘটনা কখনওই কাম্য ছিল না। আমরা সমস্ত দেশের সরকারকেই সুস্থ গণতান্ত্রিক কাঠামো বজায় রাখতে মানবাধিকার কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মাথায় রেখে তাদের সম্মান জানানোর জন্য আহ্বান জানাই।"
টুইটেই কড়া প্রতিক্রিয়া
এদিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের টুইটের কিছু আগেই স্বামীর মৃত্যুতে কড়া প্রকিক্রিয়া জানিয়ে আরও একটি টুইট করা হয় আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) তরফে। চাঁচাছোলা ভাষায় ওই টুইটে লেখা হয়, ভারত সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও সমাজসবক-মানবাধিকার কর্মীদের বারবার নিশানা করার যে ঘটনা ঘটছে তার তীব্র তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এসসিআইআরএফ।"
জবাবদিহি করতে হবে ভারত সরকারকে
পাশাপাশি এই গোটা ঘটনার মার্কিন সরকারের কাছে ভারত সরকারকে সরাসরি জবাবদিহি করার দাবিও জানায় কমিশন। জারি করা হয় বিবৃতিও। পাশাপাশি ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাঝে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় কমিশনের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউএসসিআইআরএফ হ'ল মূলত একটি দ্বিদলীয় স্বতন্ত্র কংগ্রেসীয় ম্যান্ডেটেড কমিশন। যারা ধর্মীয় স্বাধীনতার মূল্যায়ন অনুসারে দেশগুলির শ্রেণিবিন্যাস করে মার্কিন মুলুকের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন ঠিক করতে কাজ করে থাকে।
আমেরিকান ফরেন্সিক এজেন্সির রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর একদিন পরেই এক আমেরিকান ফরেন্সিক এজেন্সির রিপোর্টে তার মৃত্যুর পিছনে বড়সড় ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বস্টনের আর্সেনাল কনসাল্টিং ফার্মের দাবি এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া আর এক সমাজকর্মী সুরেন্দ্র গাডেলিংয়ের কম্পিউটার থেকে পাওয়া প্রমাণ নকল ছিল। মাও যোগ প্রমাণ করতে তাঁর কম্পিউটার হ্যাক করে তাতে নকল প্রমাণাদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আর্সেনাল কনসাল্টিং ফার্মের সন্দেহ একই ঘটনার শিকার হয়ে থাকতে পারেন স্ট্যান স্বামীও।
বাংলা ভাগের ছক, জন বার্লাকে মন্ত্রী করা নিয়ে রাজ্য কাঁপাতে পথে নামছে তৃণমূল