সাংবাদিক সম্মেলনেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে চিন-আমেরিকা, কোন পথে এগোচ্ছে কূটনীতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে সারা বিশ্ব চিন্তিত। এই দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশের কূটনৈতিক বৈরিতার ফল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যে পড়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে সারা বিশ্ব চিন্তিত। এই দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশের কূটনৈতিক বৈরিতার ফল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যে পড়েছে। এদিকে দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মুখোমুখি হয়েও একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্বগারই করলেন। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ফের আমেরিকা-চিনের সম্পর্ক নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার বেজিংয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ও চিনের বিদেশ সচিব ওয়াং ওয়াই। দুজনে একে অপরের দেশের বিরুদ্ধে নানা কথা উগরে দিলেন।
আমেরিকা ও চিনের দ্বন্দ্ব
বাণিজ্য নিয়ে গোলমালের পাশাপাশি আমেরিকা ও চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও তাইওয়ান নিয়েও। ফলে সাংবাদিক সম্মেলনেও দুই দেশ একে অপরকে ছেড়ে কথা বলেনি। বেজিংয়ের দিয়াওউতাই স্টেট গেস্ট হাউসে এই বৈঠক ও পরে সাংবাদিক সম্মেলন হয়।
ওয়াং এর বক্তব্য
চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে দূরত্ব তৈরি করেছে। তাইওয়ানে যা করছে আমেরিকা তাতে চিনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। চিনের বিদেশনীতি ও রাষ্ট্রনীতিতে তার ধাক্কা লাগছে। ফলে এটা সরাসরি দুই দেশের যৌথ ভরসার জায়গায় আঘাত হানছে।
পম্পেও-র বক্তব্য
এরপরে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী পম্পেও পাল্টা বলেন, দুই দেশের মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। তা ইস্যুগুলিকে চিহ্নিত করার মধ্যে দিয়েই বোঝা যাচ্ছে। চিন যে পদক্ষেপ করছে তা নিয়ে আমেরিকা চিন্তিত। দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে এগিয়ে নিয়ে যেতে বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে।