বিশ্বের সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজহার! ঘোষণায় ভারতের পাশে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স
ভারত ও পাকিস্তানে প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে বিশ্বের জঙ্গি ঘোষণা করতে প্রস্তাব জমা দিলতিন স্থায়ী দেশ আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স।
ভারত ও পাকিস্তানে প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে বিশ্বের জঙ্গি ঘোষণা করতে প্রস্তাব জমা দিল তিন স্থায়ী দেশ আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। মাসুদ আজহার এবং তার গোষ্ঠীর অবস্থান নিয়ে পাকিস্তান বরাবর অস্বীকার করে এসেছে।
সূত্রের খবূর অনুযায়ী, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের পেশ করা প্রস্তাব যদি পাশ হয়ে যায়, হাতলে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ কিংবা তার প্রধান মাসুদ আজহারের গায়ে রাষ্ট্র সংঘের বিশ্বের সন্ত্রাসবাদীর তকমা লেগে যাবে। ফলস্বরূপ বিশ্বব্যাপী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। সম্পত্তির পাশাপাশি অস্ত্র সংগ্রহের জারি হবে নিষেধাজ্ঞা।
রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তিন স্থায়ী দেশ প্রস্তাব নিয়ে এলেও, এতে সমর্থন রয়েছে, রাশিয়ার। কেননা রাশিয়া এর আগে মাসুদ আজহারের ওপর নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন জানিয়েছিল। এই মুহুর্তে বিশ্বের চোখ রয়েছে চিনের ওপর। চিন এর আগে একই ধরনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এসেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদে তিন দেশের এই প্রস্তাব দশটি কার্যকরী দিনের মধ্যে বিবেচনা করতে হবে।
[আরও পড়ুন: পর পর দুদিন ভিন্ন 'চরিত্র'! মোদীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন]
নিরাপত্তা পরিষদে মাসুদ আজহারকে চিনের সমর্থন
২০০৯ সালে মাসুদ আজহারকে বিশ্বের সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে প্রস্তাব জমা দিয়েছিল ভারত। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সমর্থন নিয়ে একই ধরনের প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত। ২০১৬-তে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার পর এই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ২০১৭-তে আবার একই ধরনের প্রস্তাব জমা দিয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। সবকটি ক্ষেত্রেই স্থায়ী সদস্য দেশে হিসেবে চিন ভেটো দেয় এবং প্রস্তাবগুলি বাতিল হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন:পুঞ্চে ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের!পাল্টা জবাব ভারতের]
২০১৯-এ
নতুন
করে
তিন
স্থায়ী
দেশ
আমেরিকা,
ব্রিটেন
ও
ফ্রান্স
মাসুদ
আজহারকে
নিয়ে
প্রস্তাব
এনেছে।
ভারতের
বিদেশমন্ত্রী
সুষমা
স্বরাজ
চিনের
বিদেশমন্ত্রীর
সামনে
পুলওয়ামা
হামলার
প্রসঙ্গ
তোলার
ফের
প্রস্তাব
আনা
হয়েছে
রাষ্ট্র
সংঘে।
সুষমা
স্বরাজ
বলেছেন,
পুলওয়ামা
হাওলার
পর
পুরো
রাষ্ট্রসংঘ
এর
নিন্দা
করেছে।
পাকিস্তানের
সব
আবহাওয়ার
সঙ্গী
চিন
এখন
কী
করে,
এখন
সেটাই
দেখার।
[আরও পড়ুন: ট্যাংরায় বিধ্বংসী আগুন! অল্পের জন্য বাঁচল গ্যাসের গোডাউন]