রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন প্রতিনিধি দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত, দিল্লিকে কোন বার্তা জো বাইডেনের?
রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি হতে চলেছেন লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড। মার্কিন ইতিহাসের গত দুই দশক ধরেই সেদেশের রাষ্ট্রপতিরা নিরাপত্তা পরিষদে ভারতকে স্থায়ী সদস্য হওয়ার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। তবে বাইডেন প্রশাসন এই ইস্যুতে কোন পথে হাঁটবে? জানিয়ে দিলেন লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড।
'সর্ব সম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত'
পূর্ববর্তী প্রশাসনের পথে হেঁটে ভারতকে নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত দেখা গলে লিন্ডাকে। উল্লেখ্য, তাঁর নিয়োগের জন্যে সেনেট শুনানির সময় এই ইস্যুতে লিন্ডাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, 'এই ইস্যুর পক্ষে এবং বিপক্ষে, উভয় দিকেই অনেক দাবি ও যুক্তি রয়েছে। বহু বছর ধরেই এই নিয়ে আলোচনা চলছে। আমার মনে হয়, সর্ব সম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।' তবে ভারতকে সমর্থন করার বিষয়টি তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।
ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিয়োগ
এদিকে রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকার জন্য প্রতিনিধি বাছাই করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ মঙ্গলবার দু'জনকে এর জন্য বেছে নেওয়া হয়৷ দু'জনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত৷ আর সেই দু'জনের মধ্যে একজন আবার বাঙালি৷ একজনের নাম সোহিনী চট্টোপাধ্যায় ও দ্বিতীয়জন অদিতি গোরুর৷
সোহিনীকে সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে
সোহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামার বিশ্ব সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনিক দিকটি দেখতেন৷ আর অদিতি রাষ্ট্রসংঘের শান্তিপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ৷ সোহিনীকে সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে৷ আর অদিতিকে নিয়োগ করা হয়েছে পলিসি অ্যাডভাইজার হিসেবে৷
কে এই সোহিনী চট্টোপাধ্যায়?
সোহিনী চট্টোপাধ্যায় একজন আইনজীবী৷ তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে পড়ান৷ এছাড়া সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট৷ অন্যদিকে অদিতি নাইজেরিয়ার লাগোসে জন্মগ্রহণ করেছেন৷ কিন্তু ভারত, ওমান এবং অস্ট্রেলিয়ায় থেকেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হয়ে৷
ট্রাম্পের নীতিতে ব্যাকফুটে আমেরিকা
আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ নির্বাচনী প্রচারে সেই পরিস্থিতিতে বদল করার কথা বলেছিলেন ডেমোক্র্যাট বাইডেন৷ তাই ক্ষমতায় এসেই তিনি রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধির নাম ঘোষণা করেছেন৷ তবে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ডকে এখনও ছাড়পত্র দেয়নি সেনেট৷ সেই ছাড়পত্র মিললে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের নিয়োগ করা কেরি ক্রাফ্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন৷