সরকারি চাকরিতে থাকা কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করা আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। রবিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে আটটার দিকে পুলিশের পদক্ষেপে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় কয়েকজন আন্দোলনকারী, পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশের তাড়ায় আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থেকে সরে গিয়ে চারুকলা ভবনের সামনে অবস্থান করতে থাকেন। সেখানে কাঁদানে গ্যাস থেকে রক্ষা পেতে আন্দোলনকারীরা আগুন জ্বালিয়েছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রবিবার দুপুর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্রছাত্রী ও চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি চাকরিতে কোটা সব মিলিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
কেন্দ্রীয়ভাবে রবিবার বেলা দুটোয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান করতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

স্থানীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটার দিকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা শাহবাগের মূল রাস্তায় অবস্থান নেওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট আলোচনা শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং শাহবাগ মোড়ে অবস্থান অব্যাহত রাখবেন।
এরপরেই শাহবাগ মোড় থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায় প্রশাসনকে। একটা সময় আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠি চালানো শুরু করে পুলিশ।
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সব মিলিয়ে ৫৫ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের অগ্রাধিকার কোটা রয়েছে। আর বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধার ওপর ভিত্তি করে। এ জন্য এই কোটাব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।
Oneindia এর ব্রেকিং নিউজের জন্য . সারাদিন ব্যাপী চটজলদি নিউজ আপডেট পান.subscribe to Bengali Oneindia.