ফের ‘অজানা’ স্ট্রেনের চোখরাঙানি! জার্মানির ৩৫ রোগীর শরীরে থাবা বসালো বহুরূপী করোনা
ফের ‘অজানা’ স্ট্রেনের চোখরাঙানি! জার্মানির ৩৫ রোগীর শরীরে থাবা বসালো বহুরূপী করোনা
করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে ইতিমধ্যেই জরুরিভিত্তিতে টিকাকরণ শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। যদিও তারই মধ্যে বিরাম নেই সংক্রমণের। অন্যদিকে জিনসজ্জায় বদল ঘটিয়ে নিজেকে শক্তিশালী করার কাজে লেগে রয়েছে কোভিড ভাইরাস। স্বাভাবিকভাবেই নিত্যনতুন স্ট্রেনের লাগাতার আক্রমণে প্রতিষেধক ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে বিশেষজ্ঞমহলে। গত সোমবার জার্মানির বাভারিয়ার এক হাসপাতালে ৩৫ রোগীর দেহে করোনার একটি নব স্ট্রেন দেখে চমকে উঠেছেন গবেষকরা।
ব্রিটেন-দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে আলাদা জার্মানির স্ট্রেন
জার্মানির বাভারিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের অনুসারে, সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব জার্মানির হাসপাতালে ৭৩ জন নতুন আক্রান্তের মধ্যে ৩৫ জনের শরীরে নব স্ট্রেন মেলে, যা ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনের থেকে আলাদা বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে বার্লিনের চ্যারিটি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নবস্ট্রেনের পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। হাসপাতালের ডেপুটি মেডিক্যাল ডিরেক্টর ক্লিমেন্স স্টকলস্নারের মতে, "নবস্ট্রেন কতটা বেশি সংক্রামক, তা এখনও জানা নেই আমাদের।"
জিন সিকোয়েন্সিংয়ের অপেক্ষায় জার্মানি
আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর, ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন ততটা প্রাণঘাতী না হলেও প্রবল সংক্রামক, স্বাভাবিকভাবেই আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনে বহুল মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ও এর ফলে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও! স্টকলস্নারের মতে, "নতুন স্ট্রেনের বিষয়ে জানতে গেলে জিনোম সিকোয়েন্সিং হওয়া অবধি আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।" অন্যদিকে একইদিনে জার্মানিতে সঠিক পরিমাণে জিনোম সিকোয়েন্সিং না করার অভিযোগ তুলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্প্যাহন।
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার ইঙ্গিত
জার্মানির গ্রিন পার্টির রাজনীতিক ডঃ জ্যানস্ক দ্যাহমেনের মতে, "সঠিক মূল্যায়ন ও পদ্ধতির অভাবে জার্মানিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়বে।" যদিও জবাবে জেন্সের জানান করোনার প্রত্যেক অভিযোজনকেই সমান গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। সূত্রের খবর, ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন ১৬ টি রাজ্যে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা। বৈঠকে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দিকেই এগোবে প্রশাসন, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
জার্মানিতে আক্রান্ত ২০ লক্ষ
অন্যদিকে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্রে খবর, প্রত্যহ প্রায় ১০,০০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার ফলে বর্তমানে জার্মানিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লক্ষে, মারা গেছেন ৪৭,৬২২ জন। এদিকে চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল তাঁর রাজনৈতিক দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)-কে আগেই সতর্ক করেছিলেন ব্রিটেনের স্ট্রেনের বিষয়ে। এরই মাঝে নয়া স্ট্রেনকে 'ব্রিটিশ ভাইরাস' বলার ক্ষেত্রে সাফ না করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্প্যাহন। তাঁর মতে, "গত বছর 'চাইনিজ ভাইরাস' বলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলে এক্ষেত্রেও একই নিয়ম থাকা উচিত।"
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর নিয়ে সমাবেশ! সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপে 'ধাক্কা' কেন্দ্রের