দীর্ঘ ৭ দশক পর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী থেকে সরল মার্কিন সেনা
দীর্ঘ সাত দশক পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়া রাজধানী থেকে সেনা সরালো। তাদের নতুন সদর দপ্তর খোলা হল সিওলের প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, ক্যাম্প হামফ্রেতে।
শেষ হল গত ৭০ বছরের এক অধ্যায়। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল থেকে প্রত্যাহার করা হল মার্কিন সেনা। রাজধানীর ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে ক্যাম্প হামফ্রেতে মার্কিন সেনার নতুন হেডকোয়ার্টার কাজ করা শুরু করল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে সিওলের সেন্ট্রাল ইয়ংসানে ঘাঁটি গেঁড়েছিল মার্কিন সৈন্য সেই থেকে দক্ষিণ কোরিয়া আমেরিকা মিত্রতার প্রতীক ছিল ইয়ংসান গ্যারিসন। দক্ষিণ কোরিয় সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা রুখে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়াকে। কিন্তু একেবারে রাঝধানীর কেন্দ্রে এতখানি জায়গা জুড়ে একটি বিদেশী রাষ্ট্রের ঘাঁটি থাকা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়দের মনে অসন্তোষ ছিল।
The new United Nations Command & USFK headquarters is open for business! UNC/USFK Commander GEN Vincent K. Brooks cuts the ribbon to open the Vessey Complex, named for the first ROK-US Combined Forces Command Commander GEN John William Vessey Jr. pic.twitter.com/BONrKpeFrU
— U.S. Forces Korea (@USForcesKorea) June 29, 2018
নয়া মার্কিন সেনা সদরদপ্তর, ক্যাম্প হামফ্রে অবশ্য দেশের বাইরে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সেনা ঘাঁটি। ১১ বিলিয়ন ডলার খরচ করে ৩৫১০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই সেনা ছাউনি। কোরিয় উপদ্বীপে এখন শান্তি প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যেই মার্কিন সেনা ঘাঁটি সরানো নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে বিশ্বে।
অবশ্য শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে মার্কিন ঘাঁটি সরানোর কোনও সম্পর্ক নেই। অবশ্য এর ফলে মার্কিন সেনা সদর দপ্তর উত্তর কোরিয় বন্দুকের থেকে কিছুটা দূরে সরল ঠিকই। কিন্তু এই স্তানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। মাঝে তহবিলের অভাবে অনেকদিন নির্মাণ কাজ বন্ধও ছিল। অবশেষে ৭০ বছর পর ভেঙে গেল ইয়ংসান গ্যারিসন।