
চিনে শূন্য-কোভিড নীতির বিরুদ্ধে দানা বেঁধেছে বিক্ষোভ, শান্তিপূর্ণ দমনের আর্জি জাতিসঙ্ঘের
জাতিসঙ্ঘে চিনকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ লকডাউন বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। চিন শূন্য কোভিড নীতির বিরুদ্ধে কয়েকশো লোক রাস্তায় নেমেছে। চিনে বিক্ষোভ তীব্র হয়েছে। বেজিং রাজ্যব্যাপী সমাবেশ ও ধারাবাহিক বিক্ষোভকে দমন করা চেষ্টা করছে।

এই মর্মে রাষ্ট্রসংঘ চিনকে অনুরোধ করেছে শান্তিপূর্ণভাবে এই বিক্ষোভ দমন করতে হবে। এই বিক্ষোভ দমন করতে একটু নমনীয় হওয়া জরুরি, কখনই কাউকে গ্রেফতার বা জেলবন্দি না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মান অনুযায়ী প্রতিবাদে প্রতিক্রিয়া জানাতে আমরা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মতামত প্রকাশের জন্য কাউকে নির্বিচারে আটক করা উচিত নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আগের দিন স্বীকার করেছিল যে, চিনের শূন্য-কোভিড নীতি সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং তারাও জোর দিয়েছিল বিশ্বেস যেখানেই এ ধরনের বিক্ষোভ হোক, তা যে শান্তিপূর্ণভাবে দমন করা হয়। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র বলেছে, আমরা বলেছি যে শূন্য-কোভিড একটি নীতি নয় যা আমরা এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুসরণ করছি। গণপ্রজাতন্ত্রী চিন তাদের শূন্য-কোভিড কৌশলের মাধ্যমে এই ভাইরাসতে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।
দেশটির শূন্য-কোভি নীতির বিরুদ্ধে বেশ কিছু লোক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। চিনে ক্রমেই বিক্ষোভ তীব্র হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা লকডাউন প্রত্যাহার ও ধৃতদের মুক্তির দাবি জানান, ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতার আসার পর থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর জন্য শহরজুড়ে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটাই সবথেকে বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর কাছে।
গত সপ্তাহে উরুমকিতে একটি মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। তা অনুঘটকের কাজ করেছিল কোভিড লকডাউনের প্রতিবাদে। শত শত বিক্ষোভকারী, উরুমকি অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের জন্য শোক জানাতে, মোমবাতি মিছিল করে। মোমবাতি হাতে সঙ্গীতের সুরমূর্ছনায় তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন।
চিনে করোবা ৪০ হাজার সংক্রমিত হওয়ার পরই জিরো কোভিট নীতি নেওয়া হয়। এই শূন্য কোভিড নীতি জনসাধারণের মনে হতাশার সৃষ্টি করে। কারণ তাঁরা দীর্ঘদিন স্ন্যাপ লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন ও নমুনা পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে চলেছেন। তার থেকে এবার তাঁরা মুক্তি চাইছেন। এই বিক্ষোভ প্রতিবাদে শামিল হয়ে তাঁরা অবরোধও করেছিল। এর ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গাড়ি চলাচল। তারপর শতাধিক পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।