আমাজন নদীর নীচে আর এক নদী রয়েছে! প্রস্থে তা আমাজনের চেয়ে দ্বিগুণ বড়
আমাজন অববাহিকা পৃথিবীর অন্যতম বড় ও অনন্য বলে সারা বিশ্বে পরিচিত। এর কতটুকুই বা আমরা জানি। বেশিরভাগটাই এখনও অজানা। বিজ্ঞানীরা আমাজন অববাহিকার নীচে একটি নতুন নদীর সন্ধান পেয়েছেন।
প্রকৃতির অন্যতম বিস্ময় আমাজন অববাহিকা ও তার আশপাশের এলাকা। কত বিস্ময় যে এর অতলে লুকিয়ে রয়েছে তা বোধহয় একমাত্র ঈশ্বরই জানেন। আমাজন অববাহিকা পৃথিবীর অন্যতম বড় ও অনন্য বলে সারা বিশ্বে পরিচিত। [আমাজনে 'ফুটন্ত নদী'-র সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা]
এটি বিস্তৃত ৭০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। তবে এর কতটুকুই বা আমরা জানি। বেশিরভাগটাই এখনও অজানা থেকে গিয়েছে। যেমন এক ব্রাজিলীয় বিজ্ঞানী আমাজন অববাহিকার নীচে একটি নতুন নদীর সন্ধান পেয়েছেন। ['৪ হাজার বছর' পর মাটি ফুঁড়ে জেগে উঠল পবিত্র সরস্বতী নদী!]
আমাজন অববাহিকায় নদীর ৪ কিলোমিটার গভীরে এই নদীটি বহমান। নাম রিও হামজা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আমাজন নদী যতটা দীর্ঘ এটিও দৈঘ্যে ততটাই বড়। তবে প্রস্থে আমাজনের চেয়ে এটি অনেক বেশি বিস্তৃত। [যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগের পুরনো মুদ্রা উদ্ধার হল ভারতে]
জানা গিয়েছে, আমাজন ও রিও হামজা দুটি নদীই প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে বয়ে চলেছে। তবে যেখানে আমাজন নদী প্রস্থে ১ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত, সেখানে হামজা নদী ২০০ কিমি থেকে ৪০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। [বিশ্বের ক্ষুদ্রতম 'মুরগীর ডিম' মিলল ইংল্যান্ডের এক খামারবাড়িতে]
দুটি নদীই উৎপত্তিস্থল থেকে শুরু করে শেষপর্যন্ত গিয়ে অতলান্তিক মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। উপরের আমাজন নদীর জলের গতিবেগ অনেক বেশি। প্রচুর বেশি পরিমাণে জল বহন করে। সেখানে হামজার জলের বেগ অনেকটা স্থবির, শান্ত।
কয়েকবছর আগে এই নিয়ে অনেক গবেষণার পরে নদীটির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। রিও হামজা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ব্রাজিলের রিও দে জেনেইরোর 'জিওফিজিক্যাল ন্য়াশনাল অবজারভেটরি'তে সংগৃহীত রয়েছে।
বলা হয়েছে, আমাজনের নীচে নদীর অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে বিজ্ঞানীরা গণিত মডেলের সাহায্য নিয়েছেন। মাটির ও জলের নীচে তাপমাত্রার নান পরিবর্তনকে লক্ষ্য করেও নয়া সূত্রে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে কীভাবে একবার উলম্ব ভাবে আবার কখনও দিগন্ত বিস্তৃতভাবে রিও হামজা নদীর প্রবাহপথ পরিবর্তিত হয়েছে।