সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন, করতে হবে নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থাও! হাসিনাকে বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের
নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে এমনই বার্তা দেওয়া হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ
নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে এমনই বার্তা দেওয়া হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো।
সোমবার তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তা মূলত সামাজিক মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকেই ছড়িয়েছে, যা সংবিধানের পরিপন্থী। সরকারের প্রতি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বার্তা দেন তিনি।
তিনি বলেন, সহিষ্ণু বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তরফেও এই হামলার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থার তরফে সাদ হামাদি বলেন, এই ধরনের ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ ক্রমশ বাড়ছে।
তিনি বলেন, এ ভাবে বারবার আক্রমণের ঘটনা, সাম্প্রদায়িক হামলা, সংখ্যালঘুদের প্রার্থনার স্থানে আক্রমণ বুঝিয়ে দিচ্ছে, বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে ব্য়র্থ। অবিলম্বে ন্যয়বিচারের দাবি জানিয়েছে এই সংস্থাও।
এ দিকে, আজ বুধবার ঢাকায় মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ দিন তিনি আরও একবার অবস্থান স্পষ্ট করেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
এ দিন বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার বৈঠকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে দোষীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, এ দিনই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, কুমিল্লার তাণ্ডবের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপে তাণ্ডবের পর বাংলাদেশের আধা সেনার সঙ্গে রীতিমতো খণ্ড যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা, বিক্ষোভ ছড়ায় রাজধানী ঢাকাতেও।
ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার হাজার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের রয়েছে।
অন্যদিকে তবে বাংলাদেশের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তাঁর মতে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই সম্পর্ককে খারাপ করতেই পরিকল্পনা করে ষড়জন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিপ্লব দেব বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং বন্ধুত্ব অনেক দেশের কাছে হিংসার কারণ। আর এই সম্পর্কে খারাপ করতেই পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হিয়েছে বলে দাবি তাঁর। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর বিশ্বাস বাংলাদেশ সরকার এই ঘটনায় কড়া ভূমিকা নেবে। শুধু তাই নয়, ঘটনার কড়া তদন্ত করবে। তবে বাংলাদেশের এই ঘটনাকে চিন্তাজনক বলে ব্যাখ্যা বিপ্লবের।