রাষ্ট্রপুঞ্জের জনপ্রিয়তম তরুণী হিসাবে ঘোষণা করা হল মালালা ইউসুফজাইয়ের নাম
রাষ্ট্রপুঞ্জের জনপ্রিয়তম তরুণী হিসাবে ঘোষণা করা হল মালালা ইউসুফজাইয়ের নাম
এই দশকের জনপ্রিয়তম তরুণী হিসেবে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের নাম ঘোষণা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বিশ্বব্যাপী নারী শিক্ষার অধিকারের পক্ষে এই দশকে মালালা যে ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে তাঁর ধারে কাছে আর কেউ নেই। এখন মালালা ২২। রাষ্ট্রপুঞ্জ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে। পৃথিবীর যে প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, গর্জে ওঠেন মালালা। প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলের বোমাবর্ষণ থেকে আফগানিস্তানের কোনও গ্রামে নারী শিক্ষার উপর আক্রমণ, সরব হয়েছেন মালালা। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তোলার পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়েও নিজের মত স্পষ্ট করেছিলেন এই নোবেলজয়ী তরুণী।
শিশুদের অধিকার নিয়ে মালালা কিশোরী বয়স থেকেই কাজ করছেন। তালিবানের গুলি মাথায় রাখার পরও তাঁকে দমানো যায়নি কিছুতেই। ৪৯ দিনের যুদ্ধের পর তিনি ফের ফিরে আসেন, এবার আরও শক্ত হয়ে। তাঁর এই প্রচেষ্টাই মালালাকে ২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কারের অধিকারী করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'মালালার ওপর হামলা গোটা বিশ্বকে শিহরিত করেছিল এবং বিশ্বজুড়ে তা নিন্দিত হয়েছে। এ বছরের মানবাধিকার দিবসে প্যারিসে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে তাঁকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। মালালা যে ভাবে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অধিকার এবং মেয়েদের জীবনে শিক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, এই দুই বিষয় নিয়ে ক্রমাগত লড়ে যাচ্ছেন তিনি।’ রিপোর্টে আরও উল্লেখিত যে হামলার পর মালালার লড়াই আরও বেড়ে গিয়েছে। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের শার্তির বার্তা প্রেরক হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি, মেয়েদের শিক্ষাই যাঁর মূল লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, গত বছরই পাকিস্তান সীমান্তে মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম মালালা ইউসুফজাইকে হত্যার চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত ফজলুল্লাহ ওরফে মোল্লা রেডিও। ২০১২ সালে স্কুল যাওয়ার পথে বাস থামিয়ে মালালা ইউসুফজাইকে গুলি করেছিল এই মোল্লা রেডিওই। পাকিস্তানের এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে কন্যাসন্তাদের স্কুলে যাওয়ার অধিকারের লড়াইয়ে নতুন জোয়ার আনে।
অস্ট্রিয়ার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের প্রতি মাসে বাড়ি ভাড়া বাবদ খরচ ১৫ লক্ষ ডলার