Ukraine-Russia War: তৃতীয়বারের জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া
Ukraine-Russia War: তৃতীয়বারের জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া
তৃতীয়বারের জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া। ফরাসি প্রেসিন্টের অনুরোধে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। মানবিক করিডর তৈরি করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ, মারিউপোল, খারকিভ ও সুমিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। এদিকে আজই জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
ফের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া। এবার ফরাসী প্রেসিডেন্টের অনুরোধ মেনে তৃতীয়বারের জন্য ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছেন পুতিন। হিউম্যান করিডর তৈরির জন্যই এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বারবারই সাধারণ নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল যুদ্ধ বিরতি চলাকালীনই নাগরিকদের উপর এলোপাথারি গুলি চালিয়েছিল রুশ সেনা। তাতে ২ শিশু সহ এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জেলনস্কি হুঙ্কার দিয়েছেন নির্বিচারে এই হত্যা ক্ষমা করা হবে না রাশিয়াকে।
ভারতীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টা এবং সেখানকার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ২ বার রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু প্রতিবারই বিরতির মধ্যেও গুলি চালনা অথবা বোমা বর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল রুশ সেনার বিরুদ্ধে। এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে আজই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলার কথা মোদীর। গতকালই ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন পুতিনের সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ থামানোর কথা বলতে।
সব দেশ থেকেই পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানানো হয়েছে। ফরাসী প্রেসিডেন্টের অনুরোধ মেনে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছেন পুতিন। কিন্তু সেটা কতক্ষণ স্থায়ী হবে সেটাই এখন দেখার। তৎপরতার সঙ্গে ইউক্রেনের একাধিক শহর বিশেষ করে কিয়েভ, মারিউপোল, খারকিভ ও সুমিতে থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। হিউম্যান করিডর তৈরি করা হচ্ছে সেখােন। খারকিভে আর কোনও ভারতীয় আটকে নেই বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও ইউক্রেনে কয়েক হাজার ভারতীয় আটকে রয়েছে বলে খবর। তাঁদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোদী সরকারের কাছে।