রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের প্রস্তুতি
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের প্রস্তুতি
বুচাতে ইউক্রেনের অসামরিক নাগরিকদের মেরে আধপোড়া অবস্থায় স্তুপাকারে রাস্তার দুপাশে ফেলে রেখেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এমনটাই অভিযোগ ইউক্রেনের৷ রাষ্ট্রসংঘে ও দেশের সংসদে বুচার ভয়ঙ্কর গণহত্যার কড়া নিন্দা করে নিরপেক্ষ স্বাধীন তদন্তের দাবি করেছে ভারতও৷ এবার এই ঘটনার পরই রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করল আমেরিকার সহ মিত্রদেশগুলি৷ রাষ্ট্রসংঘের প্রধান মানবাধিকার সংস্থা থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করা হবে কিনা তা নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সাধারণ পরিষদে ভোট৷ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী শহরগুলি থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করার পরে শত শত মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে ইউক্রেন৷
এরই প্রতিক্রিয়া হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ শুরু করেছে। যুদ্ধাপরাধের জন্য রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিচারের ডাক দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ৪৭-সদস্যের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়ে ভোট আহ্বান করেছেন৷ বুচা শহরের রাস্তার ভিডিও এবং ফটোর পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ছনি থেকে প্রায় স্পষ্ট যে বুচাতে অসামরিক নাগরিকদেরই গণহত্যা হয়েছে।
থমাস বলেছেন, বুচা শহরের ভিডিও এবং প্রতিবেদন বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে। রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাচ্ছে বহু দেশ। যদিও রাশিয়া কঠোরভাবে এই গণহত্যায় নিজেদের দায়িত্ব অস্বীকার করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং আমরা বিশ্বাস করি যে রাশিয়াকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
ঠিক কী হয়েছে অনুব্রত মন্ডলের? এসএসকেএমের সুপারের সঙ্গে কথা সিবিআইয়ের
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়ার অংশগ্রহণকে অনেকেই একটি প্রহসন বলে দেখছে৷ সাধারণ পরিষদের মুখপাত্র পাউলিনা কুবিয়াক বুধবার বলেছেন যে ইউক্রেনের উপর অ্যাসেম্বলির জরুরি বিশেষ অধিবেশন বৃহস্পতিবার সকাল ১০ শুরু হবে। এবং এই অধিবেশনেই সর্বসম্মতিক্রমে মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়ার সদস্যতার অধিকার সরানোর রেজোলিউশনটিতে ভোট দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল জেনেভায় অবস্থিত। এর সদস্যরা ১৯৩ জাতি সাধারণ পরিষদের দ্বারা তিন বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। মার্চ ২০০৬-এ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়ার কারণে ইউক্রেনে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবিক সংকটের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই মানবাধিকার কমিশন থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করার জন্য রেজোলিউশন আনা হচ্ছে৷ যা অনুমোদনের জন্য কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সম্মতি ভোট পেতে হবে। যদি কোনও সদস্য এই ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে তাহলে সেই সদস্যের ভোট গণনা করা হয় না।