ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ: ক্রাইমিয়ায় রুশ অস্ত্রগুদামে পর পর বিস্ফোরণ, নাশকতার অভিযোগ
অস্ত্রগুদামে একের পর এক যেসব বিস্ফোরণ ঘটে, সেগুলোর শব্দ নাকি অনেক দূর থেকে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল। প্রায় ২০০০ লোককে পাশের গ্রামে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ক্রাইমিয়ায় একটি গোলাবারুদের গুদামে, তাদের ভাষায়, নাশকতা সৃষ্টিকারীরা হামলা চালিয়েছে।
ক্রাইমিয়ার ডিজানকোই শহরের কাছে এই গুদামে বিস্ফোরণের পর নিকটবর্তী বিভিন্ন অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে, এবং প্রায় ২০০০ মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছিল, যেটিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ইউক্রেনের সরকার এই দুটি হামলার কোনটিরই দায়িত্ব এখনো স্বীকার করেনি।
বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার অস্ত্রগুদামে একের পর এক যেসব বিস্ফোরণ ঘটে, সেগুলোর শব্দ নাকি অনেক দূর থেকে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল।
শুরুতে রুশরা বলেছিল, কোন আগুনের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
কিন্তু এখন তারা এজন্যে 'নাশকতাকারীদের' দায়ী করছে।
আরও পড়তে পারেন:
- আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র বদলে দিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চিত্র
- ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম ফোন কলে কী কথা হলো ব্লিনকেন ও লাভরভের
- কারাগারে হামলায় ৪০ জন যুদ্ধবন্দী নিহত, রাশিয়া দুষছে ইউক্রেনকে
বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
- ভারতের আপত্তির পরও শ্রীলংকায় চীনা 'গুপ্তচর' জাহাজ
- ঢাকা উত্তরে বিআরটি'র সব নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন মেয়র
- ভারতীয় ফুটবলের ওপর ফিফার অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রাইমিয়ার মাইস্কোয়ে গ্রামের কাছে একটি অস্থায়ী অস্ত্রগুদামে মস্কো সময় সকাল সোয়া ছয়টায় এক বিস্ফোরণ ঘটে।
এই বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সেখানে কোন কেউ গুরুতর হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে রুশদের নিয়োগ করা আঞ্চলিক প্রধান সের্গেই আক্সিনভ ঘটনাস্থল ঘুরে জানিয়েছেন, প্রায় ২০০০ লোককে সেখান থেকে পাশের গ্রামে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মাত্র গত সপ্তাহেই ক্রাইমিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলের এক বিমান ঘাঁটিতে একের পর এক বিস্ফোরণে কয়েকটি রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়।
ইউক্রেন কখনোই প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি যে, তারাই এসবের পেছনে।
তবে প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ক্রাইমিয়ায় অসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া চলছে, যা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে এসব বিস্ফোরণ দুর্ঘটনাবশত ঘটেনি।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করে নিয়েছিল, এরপর তারা এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অংশ বলে ঘোষণা করে।