রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : সংঘাত নিয়ে কী কথা স্পষ্ট করলেন ন্যাটো প্রধান
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : সংঘাত নিয়ে কী কথা স্পষ্ট করলেন ন্যাটো প্রধান
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ অব্যাহত। এই সংঘাতের ফলে ইউক্রেনের শান্তি নষ্ট করেছে রাশিয়া। আগেই কিন্তু ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যের সাহায্যও চেয়েও পায়নি। তারপর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সরাসরি ন্যাটোর কর্তাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাদের ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া হবে কি? এখন পর্যন্ত ইউক্রেন কিন্তু ন্যাটোর সদস্য পদ পায়নি। তবে বন্ধু দেশগুলির পাশে ন্যাটোর সদস্যরা থাকবে ও নিরাপত্তা প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। পাশপাশি তিনি এও জানান, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে আমি মস্কোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমস্যা সমাধানের কথাই তিনি বলেন।
ন্যাটো প্রধান কী বললেন
শুক্রবার ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, আমাদের এখন প্রধান চিন্তার বিষয় যে, রাশিয়া আক্রমণের পরে নিহত ও বাস্তুচ্যুত হচ্ছে তাদের নিয়ে। তিনি কিন্তু রুশ আক্রমণকে মোটেই সমর্থন করেন না। শান্তিপূর্ণ ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথাই তিনি জানালেন।
জেনস স্টলটেনবার্গ মত কী
ন্যাটো প্রধান বলেন, ইতিমধ্যে কিন্তু স্থলে, জলে ,আকাশে কিন্তু অনেক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েক হাজার সৈন্য নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি বহু জাতিক বাহিনী। ১০০ টির বেশি জেট বা যুদ্ধ বিমান ৩০ টি প্রতিরক্ষা স্থানে কাজ করবে। যার সঙ্গে কিন্তু ১২০ টির বেশি জাহাজও আছে। ন্যাটো অঞ্চল ও প্রতিবেশি দেশগুলির শান্তি বজায় রাখার জন্য আমরা যা করার করব। ৪০ হাজার সেনা অপেক্ষায় রয়েছে, মোতায়েন করা হয়নি।
কোন কোন অঞ্চলকে বিশেষ নিরাপত্তা দেবে ন্যাটো
তিনি আরও বলেন, রুশ আক্রমণ অনেককেই বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনি এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেনে তাদের সেনা পাঠাবেন না ,কারণ সেটি তাদের সদস্য নয়। জর্জিয়া, মলদোভা ও বসনিয়া-সহ অন্য অঞ্চলকে তাঁরা নিরাপত্তা দেবে।
বাইডেন কী বললেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিন্তু আগেই জানিয়েছিলেন যে, রাশিয়া যে ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণা করল। তাতে কিন্তু একটা বিরাট খেসারত দিতে হবে রুশকে। সেই সঙ্গে তিনি কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যথেষ্ট নিন্দাও করেছেন।
ভারতের চিন্তা বাড়ছে
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে বসেছিলেন মোদী। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মারিউপোল ও ওডেসারের তীরে রাশিয়ান নৌবাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। লক্ষ্য যেন স্থির থাকে লক্ষ্যভেদ না হয় আর ঠিক রাখতেই রাশিয়া কিন্তু উন্নতমানের অস্ত্র ব্যবহার করছে। আর এই কঠিন সময়ে ভারত কিন্তু চুপ করে বসে থাকতে পারছে না।
উল্লেখ্য, রুশ প্রেসিডেন্টকে নমো বলেন, যেসব ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেনে আছেন বিশেষত পড়ুয়ারা তাঁদের নিরাপত্তার জন্য আর্জি জানান। অপরদিকে, ইউক্রেনের পরিস্থিতির কথাও মোদীকে জানান পুতিন। তবে, ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে যে কঠিন সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটবে বলে রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে আশা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ফোনে প্রায় আধ ঘণ্টার কাছাকাছি তাঁদের দু'জনের কথা হয়। আটকে থাকা ভারতীয় ও পড়ুয়াদের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
২১১টি সেনা পরিকাঠামো গুড়িয়ে দিল মস্কো! পালটা দুই রুশ বিমানকে গুলি করে নামাল ইউক্রেন