অবিলম্বে রাশিয়াকে সেনা সরাতে বলল ইউক্রেন! empire of lies-তীব্র আক্রমণ পুতিনের
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের আজ সোমবার পাঁচদিন! এদিন সকাল থেকে নতুন করে ইউক্রেনের উপর হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। সে দেশের বিভিন্ন অংশে একের পর এক আঘাত হানা হচ্ছে। এমনকি রাজধানী কিভ দখল করতে না পারলেও ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শ
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের আজ সোমবার পাঁচদিন! এদিন সকাল থেকে নতুন করে ইউক্রেনের উপর হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। সে দেশের বিভিন্ন অংশে একের পর এক আঘাত হানা হচ্ছে। এমনকি রাজধানী কিভ দখল করতে না পারলেও ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর আজ নতুন করে দখল করেছে রাশিয়া।
আর এর মধ্যেই বেলারুশে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। দুই দেশের প্রতিনিধি দলই এদিন মুখোমুখি হন। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে এই বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ইউক্রেন থেকে অবিলম্বে সেনা সরাতে হবে রাশিয়াকে।
শুধু তাই নয়, ক্রিমিয়া এবং ডোনবাসকে রাশিয়ান সেনাকে ফেরাতে হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সুত্রে জানা গিয়েছে, রাজধানী কিব সহ সমস্ত জায়গা থেকে রাশিয়াকে অবিলম্বে সেনা সরাতে হবে। অন্যদিকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলা আলোচনার মধ্যেই ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া। মস্কো ব্রিটেন সহ ৩৬টি দেশের জন্যে নিজেদের দেশের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও ইউরোপের একাধিক দেশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এমনকি বহু দেশ রাশিয়ার বিমান সংস্থার জন্যে নিজেদের দেশের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দিয়েছে। কার্যত এবার পালটা প্রত্যাঘাত রাশিয়ার তরফে। একাধিক দেশের জন্যে নিজেদের দেশের এয়ারস্পেশ বন্ধ করে দিল রাশিয়া।
শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের উপর রাশিয়া আঘাত হানার পরেই আমেরিকার তরফে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুধু তাই নয়, ব্রিটেন সহ একাধিক দেশ একের পর এক তোপ দাগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এমনকি সুইফট ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে রাশিয়ার আর্থিক সংস্থাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে মস্কোর জাহাজকে আটকানো হচ্ছে। যা নিয়ে নতুন করে সংঘাত তৈরি হচ্ছে।
এই অবস্থায় নজিরবিহীন আক্রমণ রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের। empire of lies-বলে তীব্র আক্রমণ। কিন্তু কেন নজিরবিহীন ভাবে এমন আক্রমণ কেন পুতিনের? ওয়াকিবহালমহলের মতে, যেভাবে একের পর পশ্চিমিদেশগুলি রাশিয়ার উপর নিষেধাজঙ্গা দিয়ে যাচ্ছে তাতে ইউরোপ-সহ পশ্চিমের দেশগুলির বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য এদিন ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠক যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনই পুতিনের এই বৈঠকও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রাশিয়ার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেই মুলত আলোচনা করেন। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়েই মুলত আলোচনা হ্য় এদিন।