রুশ আগ্রাসনে ধ্বংসের মুখে ইউক্রেনের ডনবাস, অস্ত্র সাহায্য চেয়ে ভিডিও বার্তা জেলনস্কির
রুশ আগ্রাসনে ধ্বংসের মুখে ইউক্রেনের ডনবাস, অস্ত্র সাহায্য চেয়ে ভিডিও বার্তা জেলনস্কির
ইউক্রেনে রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে। ডনবাস অঞ্চল এখনও রুশ সামরিক বাহিনীর দখলে রয়েছে। ডানবাস সম্পূর্ণ ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাশিয়া একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির জেলনস্কি দ্রুত অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের জন্য ইউরোপের মিত্র শক্তিগুলোর কাছে আবেদন করলেন। একদিন আগেই ইইউয়ের প্রার্থী মর্যাদা পেয়েছে ইউক্রেন। পরের দিন জেলনস্কির এই আবেদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে।
একটি ভিডিও বার্তায় জেলনস্কি বলেন, 'ডানবাসে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। ডনবাসকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ সামরিকবাহিনী। এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের সাহায্য প্রয়োজন। আমাদের শহরকে, আমাদের জমিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।' ভিডিও বার্তায় তিনি ইউরোপের মিত্রশক্তিগুলোর কাছে অস্ত্র পাঠানোর আবেদন করেন। তিনি বলেন, 'রাশিয়াকে থামাতে ও ইউক্রেনের সীমানার বাইরে বের করে দেওযার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীর এখন প্রচুর অস্ত্রের প্রয়োজন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে সমতা ফেরাতে আমাদের রাশিয়ার সমতুল্য আধুনিক মানের অস্ত্রের প্রয়োজন।'
ইউক্রেন সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, ডনবাস ধ্বংসের পরিকল্পনায় রুশ সেনাবাহিনী সীমান্তে প্রচুর সেনা মজুদ করেছে। লিসিচানস্ক শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভোভচোয়ারিভকা নামের গ্রাম ইতিধ্যে রুশ সেনাবাহিনীর দখলে চলে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে লিসিচানস্ক শহর রাশিয়ার সেনাবাহিনী দখল করে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডনবাস হামলার পাশাপাশি রুশ সেনারা খারকিভে গুলি চালাতে শুরু করেছে।
গত মাসেই খারকিভ থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে ইউক্রেন সেনারা দখল নেয়। খারকিভের মানুষ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। তারমধ্যে রুশ সেনাদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, ডনবাস থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ডনবাস এলাকায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষস্থানীয় সম্মেলনে ইউক্রেনকে প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওপর হামলা শুরু করে রাশিয়া। তারপরেই ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রার্থীর মর্যাদার জন্য আবেদন করে। ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিতে পাঁচ মাসের মধ্যে ইইউ ইউক্রেনকে প্রার্থীর মর্যাদা দেয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের জের, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি ৫০ গুন বাড়াল ভারত
ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রার্থীর মর্যাদা পেতে কয়েক বছর সময় লাগে। কিছু ক্ষেত্রে ১০ বছরও সময় লেগেছে। কিন্তু ইউক্রেনের পরিস্থিতি মাথায় রেখেই দ্রুত এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০টি দেশ ইউক্রেনের বিরোধিতা করে। পরে দেশগুলোর প্রধান নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে। ইউক্রেন প্রথমে ইইউ-এর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু রুশ হামলার পরে প্রার্থী মর্যাদার জন্য আবেদন করে।