রাশিয়ার কথা শুনব, বললেন ইউক্রেনের নৌসেনাধ্যক্ষ, বাড়ছে সঙ্কট
গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। দু'দিন আগে রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করতে চেয়ে পার্লামেন্টের অনুমতি চান। সেই অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন ঠিকই, তবে এখনও রুশ সেনা ঢোকেনি ইউক্রেনে। বরং ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্ত ক্রাইমিয়াতে চলছে রুশ সেনার মহড়া। প্রসঙ্গত, ক্রাইমিয়া ঐতিহাসিকভাবে ইউক্রেনের ভূখণ্ড হলেও এর একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়া। এখানে রুশ নৌসেনার কার্যালয়ও রয়েছে। রুশ ভাষাভাষী মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ এখানে।
এই ক্রাইমিয়ার রুশ নৌসেনা কার্যালয়ের অন্দরে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলে বিবৃতি দিয়ে ইউক্রেনের নৌসেনার প্রধান দেনিস বেরেজভস্কি স্পষ্ট বলেছেন, "আমি প্রতিজ্ঞা করছি, স্বতন্ত্র ক্রাইমিয়া থেকে যে নির্দেশ আসবে, তা-ই মেনে চলব।" স্বতন্ত্র ক্রাইমিয়ার নির্দেশের অর্থ হল রাশিয়ার নির্দেশ। ফলে যুদ্ধ বাধলে জলপথে ইউক্রেনকে কবজা করতে এতটুকুও বেগ পেতে হবে না রাশিয়াকে।
এদিকে, রুশপন্থী শাসক ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের বিদায়ের পর এখন স্পষ্টতই মার্কিনপন্থী শাসক আরসেনি ইয়াতসেনিউকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ওয়াশিংটন। সোমবার আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, "এই পরিস্থিতিতে জুন মাসে জি-৮ বৈঠক হচ্ছে না। হয়তো জি-৮ গোষ্ঠীতে রাশিয়াকে রাখাও হবে না। ভেবে অবাক লাগছে, ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রপতি পুতিন আর একটা দেশে হামলা চালাতে চাইছেন। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্বও পালন করছে না রাশিয়া।" তিনি জানান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ব্রিটেন ও ফ্রান্স সমর্থন করেছে আমেরিকাকে।