পরপর দু’বার ভারত সফর বাতিল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর, বাধ সাধল সেই করোনা ভাইরাস
পরপর দু’বার ভারত সফর বাতিল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর
না ভারতে আসা মনে হয় ভাগ্যে নেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর। তাই তো একই বছরে দু’বার একই কারণে সফর বাতিল করতে হল। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে ব্রিটেনের মুখ্যমন্ত্রী বোরিস জনসন তাঁর ভারত সফর বাতিল করলেন। ভারতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সফল বাতিল নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরকারি মুখপাত্র বলেন, 'ভারতে করোনা পরিস্থিতি দেখার পর উভয় পক্ষের বোঝাপড়াতে এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগামী সপ্তাহে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ভারক সফরে যাবেন না।’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে ভারত–ব্রিটেনের সুসম্পর্কের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে উভয় দেশই ভার্চুয়ালি বৈঠক সারবেন আগামী দিনে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষে তিনদিনের জন্য ভারত সফরে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দুই দেশের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনা করার কথী ছিল। এর পাশাপাশি ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুরক্ষার বিষয়েও কথাবার্তা চালানো এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়। জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য রবিবার ঘোষণা করেছে যে গতমাসে ব্রিটেনে ডবল মিউট্যান্ট ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়ান্ট করোনা ভাইরাসের ৭৭টি কেস সনাক্ত হয়েছে। এরপরই ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টি রবিবার জনসনকে ভারত সফর বাতিল করার জন্য চাপ দেয়।
যদিও এর আগে জনসনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের অফিস সফর কাটছাঁট করার কথা আগেই ঘোষণা করছিল, যার মধ্যে ২৬ এপ্রিল নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনাও ছিল। তবে সোমবার সরকারিভাবে সফর বাতিল হওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিকে। এর আগেও প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু জানুয়ারিতে করোনা নতুন স্ট্রেনের কারণে লকডাউন জারি করে ইংল্যান্ড। ভারত সফর বাতিল করতে হয় বরিস জনসনকে। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের এমন অবস্থায় তিনি নিজের দেশ ছেড়ে আসতে পারছেন না। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আসবেন ভারতে। কিন্তু এ বারও ফের বাধ সাধল সেই করোনাই।