বিশ্বের দরবারে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি নিয়ে সমালোচনা! 'হুমকি' মোদী সরকারকে
ভারতে বিরোধীরাই শুরু নয়, এবার বিশ্বের দরবারে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি নিয়ে সমালোচনা। এক ব্রিটিশ এমপি এই কাজকে টোটাল ননসেন্স বলেছেন।
ভারতে বিরোধীরাই শুরু নয়, এবার বিশ্বের দরবারে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি নিয়ে সমালোচনা। এক ব্রিটিশ এমপি এই কাজকে টোটাল ননসেন্স বলেছেন। কনজারভেটিভ পার্টির এমপি পিটার বোন বলেছেন, যখন তাদের থেকে ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড সাহায্য নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই ৩৩০ মিলিয়ন পাউন্ড স্ট্যাচুর পিছনে খরচ করা হচ্ছে। এটা এমন একটা জিনিস যা মানুষকে পাগল করার মতো বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
ব্রিটিস এমপি বোন, ব্রিটেনের তরফে ভারতকে ৫ বছরে ১.১৭ বিলিয়ন পাউন্ড( ৯৪৯২ কোটি টাকার বেশি) বিদেশি সাহায্যের কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও ওই টাকা বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, মহিলাদের অধিকার, পুনর্নবীকরণ শক্তি, ধর্মীয় সহনশীলতায় উৎসাহ দানের মতো বিষয়। তিনি মনে করেন, ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২ হাজার টনের স্ট্যাচু তৈরি না করেই ভারত এই ধরনের প্রকল্পে সহজেই টাকা দিতে পারে।
টোরি পার্লামেন্টেরিয়ান আরও বলেছেন, তারা তাদের অর্থ কী ভাবে খরচ করবে, এটা তাদেরই বিষয়। কিন্তু যদি তারা স্ট্যাচুর জন্য খরচ করত পারে, তাহলে সেদেশকে তাদের সাহায্য করার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন তিনি।
শুধু এই সাংসদই নন, ব্রিটেনের আরও বেশ কয়েকজন সাংসদের মত, যদি ভারত স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্য মূর্তি তৈরি করতে ৩ হাজার কোটি খরচ করতে পারে, যা আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দ্বিগুণ, তাহলে ব্রিটেনের উচিৎ ভারতকে সাহায্য না দেওয়া।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২-তে প্রকল্প শুরুর সময় ব্রিটেন ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড ভারতে সাহায্য করেছিল। ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে ব্রিটেন থেকে ভারত ২৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড, ২৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড এবং ১৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড সাহায্য পেয়েছিল।
ব্রিটেনের অনেক ভারত-বিরোধী বিশ্বাস করেন, যেহেতু ভারত বিশ্বের দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অর্থনীতির দেশ, ব্যবসা কিংবা মহাকাশের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাই তাদের বিদেশি সাহায্যের দরকার নেই। তাঁরা এত বলেছেন, বিশ্বের অনেক গরিব দেশকে ভারত যে পরিমাণ অর্থ সাহায্য করেছে, তা নিজেদের প্রাপ্ত বিদেশি সাহায্যের থেকে বেশি। যদিও ভারতের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করে।
৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৩ তম জন্মদিবসে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্ট্যাচুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লার্সেন অ্যান্ড ট্যুবরো এই স্ট্যাচুটি তৈরি করেছে।