অগাস্টাকাণ্ডে অভিুক্তকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ,রাহুলদের বিরুদ্ধে অস্ত্র পেলেন মোদী
রাফালে নিয়ে মোদী সরকারকে চেপে ধরে আছেন রাহুল গান্ধী। রোজ এই নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে রাহুলের দল। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকেও সমানে পড়তে হচ্ছে রাফালে নিয়ে বিভিন্ন অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে।
রাফালে নিয়ে মোদী সরকারকে চেপে ধরে আছেন রাহুল গান্ধী। রোজ এই নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে রাহুলের দল। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকেও সমানে পড়তে হচ্ছে রাফালে নিয়ে বিভিন্ন অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তেলের দাম ও টাকার নজিরবিহীন পতনেও মোদী সরকারকে দোষারোপের বিষয়টিও। রয়েছে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসি-দের দেশ ছেড়ে পালানোর মতো ইস্যু। কংগ্রেস থেকে বিরোধী দল কেউ মোদী সরকারকে এখন ছেড়ে কথা বলছে না।
এহেন পরিস্থিতিতে রাহুলদের বিরুদ্ধে এক মোক্ষম অস্ত্র পেয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। যার ভিত্তিতে তাঁর সরকার এবার পাল্টা আক্রমণ শানাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অগাস্টা চপারকাণ্ডে এক অভিুক্তকে প্রত্যপর্ণের নির্দেশ দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি আদালত। ক্রিশ্চিয়ান মিশেল জেমস নামে ব্রিটেনের এই বাসিন্দাকে ভারতের হাতে তুলে দেবে দুবাই।
ইউপিএ সরকারের আমলে ৩,৭২৭ কোটি টাকার অগাস্টা চপারকাণ্ড হয়। অভিযোগ ওঠে ইটালিতে তৈরি এই চপার ভারতকে বেঁচতে টেবিলের তলা দিয়ে ডিল হয়েছে। ব্রিটেনের নাগরিক ক্রিশ্চিয়ানো মিশেল জেমস এই চপার দুর্নীতির অন্যতম কুশীলব বলে জানা যায়। মিশলকে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রভাবশালীদের পকেটেও একটা বড় অঙ্কের অর্থ এসেছিল বলেও অভিযোগ। কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রতিরক্ষা দুর্নীতিতে বেশকিছু রাজনৈতিক নেতা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিক, আমলা, বায়ুসেনার আধিকারিক জড়িত বলে অভিযোগ। তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্য়াগি এবং অভিযুক্ত সকলেই ১২টা ভিভিআইপি চপার কেনার এই চুক্তিতে সই করেছিলেন।
২০১৭ সালে ইউএই-তে গ্রেফতার হয় মিশেল। এরপর থেকেই তাকে পেতে তদ্বির শুরু করে সিবিআই ও ইডি। মঙ্গলবার রাতেই সিবিআই ও ইডি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি আদালতের অর্ডার জোগাড় করে। যদিও, সরকারিভাবে আদালতের নির্দেশের এই নথি এখনও ভারতের হাতে আসেনি। সিবিআই ও ইডি যে অর্ডার জোগাড় করেছে তা আরবিকে লেখা। এটাকে ইংরাজিতে অনুবাদ করা হচ্ছে।
মিশেল ধরা পড়ার পর থেকেই সিবিআই ও ইডি-র আধিকারিকরা গত এক বছরে একাধিকবার দুবাই গিয়েছেন। আমিরশাহি সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে অগাস্টা ওয়েস্টল্য়ান্ড চপার দুর্নীতির একাধিক নথি। মিশেলের প্রত্যর্পণ-এর নির্দেশ পাওয়াটা মোদী সরকারের একটা বড় জয় বলেই মনে করা হচ্ছে। মিশেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে 'এপি', 'পিওএল', 'বিইউআর' এবং 'এএফ'- নামক এই সাংকেতের পিছনের ব্যাখ্যাও জানা যাবে বলে মনে করছে সিবিআই ও ইডি।