২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ল সামুদ্রিক ঝড়! ‘হাগিবিসে’র তাণ্ডবে লন্ডভন্ড শহর
আশঙ্কাই সত্যি হল। টাইফুন ‘হাগিবিসে’র তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জাপানের ইচিহারা শহর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। আগাম ব্যবস্থা নিয়েও প্রাণহানি রুখতে পারেনি প্রশাসন।
আশঙ্কাই সত্যি হল। টাইফুন 'হাগিবিসে'র তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জাপানের ইচিহারা শহর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। আগাম ব্যবস্থা নিয়েও প্রাণহানি রুখতে পারেনি প্রশাসন। মৃত্যু হয়েছে দু-জনের। আহত হয়েছেন শতাধিক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার রাতে এই শক্তিশালী ঝড় আছড়ে পড়ে।
‘হাগিবিসে'র তাণ্ডব ইচিহারা শহরে
‘হাগিবিস' সবথেকে বেশি তাণ্ডব চালায় জাপানের ইচিহারা শহরে। এই শহরের ১২টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০টি বাড়ি। বেশ কিছু মানুষের খোঁজ মিলছে না। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। গোতেম্বা শহরে এই ঝড়ের দাপটে ড্রেনে ভেসে গিয়েছে এক ব্যক্তি।
‘হাগিবিসে'র হানা থেকে রক্ষা পেতে
এই শক্তিশালী টাইফুন ‘হাগিবিসে'র হানা থেকে রক্ষা পেতে দেড় কোটিরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তা সত্ত্বেও প্রাণহানি রোখা সম্ভব হল না। মৃত্যুর পাশাপাশি শতাধিক মানুষ জখম হলেন। এখনও অনেক মানুষ আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
শক্তিশালী টাইফুনের প্রভাবে বন্যা পরিস্থিতি
প্রবল বেগে আছড়ে পড়েছে ‘হাগিবিস'। এই শক্তিশালী টাইফুনের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে নামছে ধস। বিস্তীর্ণ এলাকায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। জাপানের হাওয়া অফিস জানিয়েছে এত বৃষ্টি আগে কখনও দেখেনিজাপান। সমুদ্রের জল্রোচ্ছ্বাসও হচ্ছে। ৪৫ ফুট উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সমুদ্রতটে।
‘হাগিবিসে'র গতিবেগ ছিল প্রায় ২০০ কিমি
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, টাইফুন ‘হাগিবিসে'র গতিবেগ ছিল প্রায় ২০০ কিমি। এই মরশুমে জাপামের ১৯ তম টাইফুন সাংগাতিক রূপে অবতীর্ণ হল। নাসা তো এই ঝড়কে শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম ঘূর্ণিঝড় আখ্যা দিয়ে বসেছে এই টাইফুনকে। জাপান সরকার এই সামুদ্রিক ঝড় রুতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পেক্ষাকৃত অনেক কম হয়েছে।