মাউন্ট এভারেস্টে ওঠা তাঁদের নেশা, জানেন কী রেকর্ড গড়লেন এই দুই শেরপা পর্বতারোহী
48 বছর বয়সী কামি শেরপা, এবং ৪৪ বছরের লাকপা শেরপা উভয়েই সবচেয়ে বেশিবার মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার নতুন রেকর্ড গড়লেন।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে ওঠাটা তাঁদের আর লক্ষ্য নয় অভ্যাস হয়ে গিয়েছে বলা যায়। আর এই অভ্য়াসার বশেই গড়ে ফেললেন নয়া রেকর্ড। এঁদের একজন নেপালী পর্বতারোহী এই নিয়ে ২২ বার পা রাখলেন মাউন্ট এভারেস্টে। অপরকজন এক মহিলা পর্বতারোহী। তাঁরও নেহাত কমবার ওঠা হল না, এই নিয়ে নয় বার।
৪৮ বছরের কামি রিতা শেরপা। মাউন্ট এভারেস্টই তাঁকে রুটি জোগায়। কাজ করেন অন্য পর্বতারোহীদের গাইড হিসেবে। আর এই কাজ করতে করতেই এই নিয়ে ২২ বার তাঁর চড়া হয়ে গেল ৮, ৮৫০ মিটার উঁচু শিখরটিতে। এটাই মাউন্ট এবারেস্টে কোনও ব্যক্তির সবচেয়ে বেশিবার ওঠার রেকর্ড। এর আগে আরও দুই শেরপার সঙ্গে তাঁকে এই রেকর্ডটি ভাগ করে নিতে হত। কিন্তু এখন তিনি একাই এই তালিকার শীর্ষে। রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেপাল পর্যচন দপ্তরের কর্তা জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠ এবং সেভেন সামিট ট্রেকস সংস্থার মালিক মিংমা শেরপা। এই সংস্থাতেই কাজ করেন কামি। কামির এই কীর্তিতে দারুন গর্বিত মিংমাও। তিনি জানান, এবার কামি উঠেছেন সাউথইস্ট রিজ রুট দিয়ে। তাঁর সঙ্গে চুড়ায় পৌঁছেছেন শেরপা ও অভিযাত্রী মিলিয়ে আরো ১৩ জন। জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কামিরা নিচে নামা শুরু করেছেন। ঠিক যে পথে এভারেস্টে প্রথম পা রাখা এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে নেমে এসেছিলেন সে পথেই নামছে দলটি। সপ্তাহান্তেই তাঁরা বেসক্যাম্পে পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অপরদিকে আমেরিকার কানেকিকাটের বাসিন্দা ৪৪ বছরের লাকপা শেরপাও এই নিয়ে ন'বার এভারেস্টে উঠে গড়লেন মহিলা হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার সর্বোচ্চ শিখরে ওঠার রেকর্ড। কামির মতো এ বিষয়ে তাঁর অবশ্য কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তিনি নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী বলা যায়। কারণ এর আগে মহিলা হিসেবে আটবার এভারেস্টে ওঠার রেকর্ডটিও তাঁর একারই ছিল। নেপালের সেভেন সামিট ক্লাব তাঁর এবারের অভিযানের আয়োজক। ক্লাবের তরফে রাজিব শ্রেষ্ঠ জানিয়েছেন, লাকপা নেপালের দিক দিয়ে এভারেস্টে ওঠেন। আপাতত এক গাইডের সঙ্গে তিনি নিচে নেমে আসছেন।
মার্চ থেকে মে, বছরের এই ছোট্ট সময়কালেই এবারেস্টে ওঠা সম্ভব। প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের অভিযাত্রীরা আসেন, শিখরে ওঠার নেশায়। তাঁদের গাইড করেন শেরপারা। এই শেরপারা তাদের সহ্যক্ষমতা, অভিজ্ঞতার জন্য খ্যাত। কিন্তু শিখৎ বিজয়ের পর অভিযাত্রীরা নাম পেলেও, তাঁরা থেকে যান পর্দার আড়ালেই। আর সেখানে থেকেই মাঝে মাঝে কামির মতো রেকর্ড বইতে নামও ওঠে তাঁদের।