ইথিওপিয়ায় পণবন্দি ভারতীয়দের মধ্যে মুক্তি পেলন ২ জন, তবুও কাটছেনা আশঙ্কার মেঘ
৬ দিনের টানা বন্দিদশার পর শেষমেশ মুক্তি পেলেন ইথিওপিয়ায় পণবন্দি ২ ভারতীয়।
৬ দিনের টানা বন্দিদশার পর শেষমেশ মুক্তি পেলেন ইথিওপিয়ায় পণবন্দি ২ ভারতীয়। আইএল অ্যান্ড এফএস গ্রুপের দুই কর্মী বরিশ বান্ডি ও ভাস্কর রেড্ডির মুক্তিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও আশঙ্কার মেঘ এখনই কাটছেনা। কারণ এখনও পর্যন্ত ইথিওপিয়ায় স্থানীয় কর্মীদের হাতে বন্দি রয়েছেন আরও এক ভারতীয় কর্মী নীরজ রঘুবংশী।
উল্লেখ্য, ইথিওপিয়ায় 'ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনানশিয়াল সার্ভিসেস' সংস্থার বেশ কয়েকজন ভারতীয় কর্মীকে পণবন্দি করা হয়েছে। সংস্থার স্থানীয় কর্মীদের হাতেই তাঁরা বন্দি হন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্থার তরফে বেতন না পাওয়াতেই ওই ভারতীয়দের আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের নজরে আসতেই তা নিয়ে তদন্তের রাস্তায় হাঁটে কেন্দ্র। এর আগে ,আটক ভারতীয় কর্মীর মধ্যে নীরজ রঘুবংশী নামে এক ব্যাক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, গত ২৫ নভেম্বর তারিখ থেকে ওরোমিয়া ও আমহারা প্রদেশের ৩টি স্থানে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর দাবি তাঁরাও গত ৫ মাস ধরে মাইনে পাননি। কিন্তু স্থানীয় কর্মীরা মনে করছেন ভারতীয় কর্মীদের আটকে রাখলে সংস্থা তাদের প্রাপ্য বেতন মেটাতে বাধ্য হবে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনও তাদেরই সমর্থন করছেন বলে নীরজ অভিযোগ করেছেন।
সূত্রের দাবি, ইথিওপিয়ার একটি রোড প্রজেক্টের কাজে সংযুক্ত ছিলেন ওই ভারতীয়রা। প্রজেক্টের কাজে যুক্ত স্থানীয়দের গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন না দেওয়াতেই ওই ভারতীয় কর্মীদের পণবন্দি করে রাখেন স্থানীয়রা। শোনা যায়, স্থনীয়রা প্রথমে ৭ জন ভারতীয়কে বন্দি করে রাখে। পরে অনেককে ছেড়ে দিলেও এখন বন্দিদের হাতে রয়েছেন নীরজ। আপাতত তাঁকে ছাড়িয়ে আনবার জন্য যাবতীয় চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।