মিডিয়া কারসাজি ও ভুয়ো তথ্য রুখতে এবার নয়া কৌশল টুইটারের
মিডিয়া কারসাজি ও ভুয়ো তথ্যে রুখতে এবার নয়া কৌশল টুইটারের
রাজনৈতিক অপ্রচার রোধে কয়েকদিন আগেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল টুইটারকে। ২০২০ সালে আসন্ন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেই বিশ্বব্যাপী যে কোনও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের কথা জানিয়েছিল এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি। এবার মিডিয়া কারসাজি রুখতেও নয়া বিধি আনার পথে টুইটার।
এই প্রস্তাবটির বাস্তবায়নের আগে ভুয়ো তথ্যের বাড়বাড়ন্ত রুখতে রোধে জনসাধারণের মতামতও চেয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের পরিবেশিত ভুয়ো খবরে রাশ টানতেই টুইটারের এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে তারা। এই ধরণের মুখোশ ধারী মিডিয়া গুলির থেকে মানুষকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে টুইটার।
এই প্রসঙ্গে টুইটার জানায়, “যদি কোনও মিডিয়ার টুইট বিভ্রান্তি মূলক হয় এবং তা কোনও ব্যক্তির শারীরিক সুরক্ষার প্রতি হুমকি স্বরূপ বা অন্য যে কোনও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে আমরা সেই পোস্টটিকে সরিয়ে দিতে পারি।” পাশাপাশি ভুয়ো খবর বা জালি পোস্ট চিহ্নিত করণের পর খবর গুলির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একাধিক লিঙ্কও প্রদান করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ আনতে টুইটারের বিশেষজ্ঞরা নিত্য গবেষণার কাজেও লেগে রয়েছেন। সিন্থেটিক মিডিয়া বা জাল তথ্য বলতে টুইটারের ভাষায় মূলত এমন কোনও 'ছবি, অডিও, বা ভিডিও যা বিভিন্ন সময়ে কোনও নির্দিষ্ট স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে যার ফলে এর মূল অর্থই পরিবর্তিত হয়ে যায় বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে যা দিয়ে সহজেই মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়।'
যদিও এই নতুন বিধি আনার আগে আগামী ২৭শে নভেম্বর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ও টুইটার ব্যবহারকারীদের মতামত নেওয়ার সময়সীমাও নির্দিষ্ট করেছে টুইটার। জনমত গ্রহণের পর তা পর্যালোচনা করে এই বিষয়ে নতুন নীতিমালার খসড়া তৈরি করবে বিশেষজ্ঞ দল। পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে টুইটার জানায়, “নীতিটি কার্যকর হওয়ার কমপক্ষে ৩০দিন আগে আমরা আরও একটি ঘোষণা করব।”
চিনের আগ্রাসন নেপালের মাটিতে! বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের প্রতিবেশী দেশ