করোনা নিয়ে উহান ল্যাবের পর্দা ফাঁসের দাবি করতেই সাসপেন্ড চিনা বিজ্ঞানীর টুইটার অ্যাকাউন্ট
যেই চিনা বিজ্ঞানী দুই দিন আগেই করোনা ভাইরাস নিয়ে উহান ল্যাবের ঘআড়ে দোষ চাপিয়েছিলেন, এবার সেই বিজ্ঞানীর টুইটার অ্যকাউন্ট সাসপেন্ড করা হল। করোনা ভাইরাস চিনের উহানের ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে। এক ভিডিও বার্তায় বিস্ফোরক দাবি করলেন চিনা বিজ্ঞানী লি মেং ইয়ান। নিজের দাবির স্বপক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমাণও দিয়েছেন ওই বিজ্ঞানী।

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বিতর্কিত টুইটে বিপত্তি
জানা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বিতর্কিত টুইট করতে থাকায় লি মেংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করা হয়। এর আগে নাকি চিনকে দোষারোপ করা বেশ কয়েকটি টুইটে টুইটার কমিউনিটি ভায়োলেশনের নোটিশ পাঠিয়েছিল। তবে এই অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার বিষয়ে টুইটারের পক্ষ থেকে কোনও রকম কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

চিনের ওই বিজ্ঞানী বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন
চিনের ওই বিজ্ঞানী বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন। হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথ থেকে ভাইরোলজি ও ইমিউনোলজি নিয়ে পাশ করেছেন লি-মেং। ব্রিটেনের জনপ্রিয় টক শো 'লুজ উইমেন'-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞানী লি-মেং ইয়ান বলেছিলেন, 'ইউহানে নতুন ধরনের নিউমোনিয়ার বিষয়ে গবেষণার জন্য বলা হয় আমাকে। গবেষণার সময় আমি কোরোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পারি।'

আমাকে এই বিষয়ে চুপ থাকতে বলা হয়
তিনি দাবি করেন, গত বছর ডিসেম্বরে এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউমোনিয়ার উপর নতুন দু'টি গবেষণা চালান। এরপর তিনি হংকং থেকে আমেরিকায় চলে যান। তিনি বলেন, 'আমার সুপারভাইজরকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমার সুপারভাইজর হু-র পরামর্শদাতা।' তবে মেংয়ের দাবি, 'এই বিষয়ে আমাকে তাঁরা কোনও উত্তর দেননি। আমাকে এই বিষয়ে চুপ থাকতে বলা হয়। আর তা না করলে আমাকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়।'

চিনের কমিউনিস্ট পার্টি পুরো বিষয়টি চেপে যেতে চাইছে
করোনা ভাইরাসের তীব্রতা সম্পর্কে চিন ও হু-র রাকঢাক নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশ। লি-মেং বলেন, 'আমি চিনের এক জনপ্রিয় ইউটিউবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। চিনের কমিউনিস্ট পার্টি পুরো বিষয়টি চেপে যেতে চাইছিল।'

চিন সরকার পরিচালিত ল্যাব থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে
তাঁর আরও অভিযোগ, উহানে চিন সরকার পরিচালিত ল্যাব থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এটি প্রকৃতি থেকে জন্ম নেয়নি। চিনের সেনা ইনস্টিটিউট কিছু বিপজ্জনক ভাইরাস আবিষ্কার করেছিল। সেগুলি হল CC45 ও ZXC41। কিন্তু ল্যাবের নবীকরণের পর ওই ভাইরাসগুলি নভেল করোনা ভাইরাসে পরিণত হয়।

দ্রুত এই নিয়ে তিনি জার্নাল প্রকাশ করবেন
এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কোনও প্রমাণ আছে কি না প্রশ্ন করা হলে লি-মেং জানান, এসবই সত্যি। কিন্তু সবটাই চেপে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান, বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীদের কয়েকজনকে নিয়ে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট তৈরি করছেন। দ্রুত এই নিয়ে তিনি জার্নাল প্রকাশ করবেন। আর তাতেই নাকি প্রমাণ হবে যে, নভেল কোরোনা ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক।

আমেরিকায় যাওয়ার পর নিজের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কি?
হংকং থেকে আমেরিকায় যাওয়ার পর নিজের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কি? প্রশ্নের উত্তরে লি-মেং জানান, 'খুব ভয় লাগছিল। কিন্তু আমি একজন চিকিৎসক। আমি এটা হতে দিতে পারি না। বিশ্বকে যদি এই বিষয়ে না জানাতে পারি, তাহলে আফসোস করতে হবে।'
লাদাখে চিনকে শায়েস্তা করতে তৈরি বোফর্স! কামানের পরীক্ষায় ভারতীয় সেনাবাহিনী